ঢাকা, শনিবার   ১৭ মে ২০২৫,   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩২

সুপ্রিম কোর্ট বারে স্বতন্ত্র প্রার্থী তানিয়া আমীর ও যুথী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪১ পিএম, ৪ মার্চ ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ০৫:৪৬ পিএম, ৪ মার্চ ২০২২ শুক্রবার

ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। 

ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। 

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২২-২৩ সেশনের নির্বাচনে সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী।   

প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের মেয়ে তানিয়া আমির। অন্যদিকে যুথী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। তারা দুজন সরকার সমর্থক সাদা প্যানেলের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন যথাক্রমে সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে।

বৃহস্পতিবার এ দুই প্রার্থী বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, আইনজীবী সমিতির মর্যাদা রক্ষায় তারা ভোটে নেমেছেন। এদের মধ্যে যুথী আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের প্যানেল থেকে সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। তবে তানিয়া আমীর মনোনয়ন চাননি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এ নির্বাচন আগামী ১৫ ও ১৬ মার্চ দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সরকার সমর্থক বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক পদে আবদুন নুর দুলালকে প্রার্থী করা হয়েছে।

দলের বাহিরে নিজের প্রার্থী হওয়া নিয়ে তানিয়া আমীর বলেন, ‘সম্ভবত এই প্রথম সভাপতি পদে একজন নারী প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছি। নির্বাচনে অবশ্যই বিজয় হবো, এমনটাই প্রত্যাশা করছি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির হারানো মর্যাদা ফিরিয়ে আনতেই মূলত আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। সুপ্রিম কোর্ট বারে এমনও অনেকের নাম রয়েছে, যাদের সদস্যপদ স্থগিত আছে, অনেকেই অযোগ্য অথচ ভোটার তালিকায় তাদের নাম রয়েছে। ভোটার তালিকা থেকে এসব ব্যক্তির নাম ফেলে দিতে হবে।’

তানিয়া আমীর আরও বলেন, ‘যারা প্যানেল গঠন করে দিয়েছেন তারা এখানকার ভোটার না। অনেকের সরকারি পদে থাকায় তার ভোটার স্থগিত করা আছে। অথচ তারা নির্ধারণ করে দিচ্ছেন, এখানে কারা নির্বাচন করবেন। এটা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা মেনে নিচ্ছেন না। এ কারণেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।’

আওয়ামী সমর্থিত একজন আইনজীবী হয়েও কেন আওয়ামী সমর্থিত প্যানেলের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে যুবলীগ চেয়ারম্যানের স্ত্রী বলেন, ‘আমি এবারের নির্বাচনে সম্পাদক পদে মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছিলাম। আলোচনা করে সমঝোতার ভিত্তিতে আমাকে না দিলেও কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু আলোচনায় ওঠার আগেই আমার নামটা কেটে দেয়া হয়েছে। এটাতে আমার মনে হয়েছে আমার অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সিনিয়র আইনজীবী ও আইনজীবী নেতৃবৃন্দ আমাকে চায়। তাদের কাছে আমি দায়বদ্ধ। সে জন্য আমি প্রার্থী হয়েছি। বড় কোনো ষড়যন্ত্র না হলে আশা করি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।’

আওয়ামী লীগ সমর্থকদের প্যানেলের বিপরীতে দল সমর্থক দুই আইনজীবীর প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন সরকার সমর্থক আইনজীবীদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে নমিনেশনটা হয়েছে পরিষদের পক্ষ থেকে। যারা নিয়মিত সদস্য, তারাই এলিজেবল টু ফাইল অ্যাপ্লিকেশন। এই হলো ব্যাপার। কেউ যদি দলে থাকে, সেটা মানবে। আর যদি কেউ অমান্য করে, তাহলে সেটা হতেই পারে, করলে কী করবেন আপনি? কিছু করার নেই। তবে দল যদি করে, দলকে যদি ভালোবাসে, নীতি-আদর্শ ভালোবাসে, তাহলে সেটা তার মাথায় রাখতে হবে, পার্টির নমিনেশন।’

এসি