ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

খালেদার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করে পস্তাচ্ছেন নিজেরাই (ভিডিও)

আতিক রহমান পূর্ণিয়া

প্রকাশিত : ১১:৩৯ এএম, ৬ মার্চ ২০২২ রবিবার | আপডেট: ১১:৪১ এএম, ৬ মার্চ ২০২২ রবিবার

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি করে নিজেদেরই পস্তাতে হচ্ছে বলে মনে করছেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছিলেন, এ দেশে চিকিৎসা সম্ভব নয় খালেদা জিয়ার। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশে চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ আছেন তিনি।

দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু পরপরই দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। 

কারাগারে থাকা অবস্থাতেই তাকে দেশের সেরা চিকিৎসা কেন্দ্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা দেয় সরকার। কিন্তু সেখানে আস্থা রাখতে পারেনি খালেদা ও তার দল। পরে তার পছন্দের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলে। সেসময় দেশে-বিদেশে বিএনপিপন্থী অনেকেই খালেদা জিয়ার মৃত্যুর গুজব ছড়ায়।

এক পর্যায়ে বিএনপি মহাসচিবও জানান, খালেদা জিয়া জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। 

হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়েই বাড়ি ফিরেছেন খালেদা। তার চিকিৎসকরাও বলছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, “এতসব প্রতিকূলতার মাঝেও উনি মানসিকভাবে অত্যন্ত সবল আছেন। উনি মনে করেন যে, তার যে চিকিৎসা বাংলাদেশে হচ্ছে এটা স্বাভাবিক আছে।”

হাসপাতালে অবস্থানের সময় খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে অতি রাজনীতি হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপিঘনিষ্ঠ এই বুদ্ধিজীবী।

বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতি বিশ্লেষক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “বিএনপি ওনার চিকিৎসা নিয়ে আন্দোলনই করেনি। অসুস্থ হলে তার চিকিৎসা দরকার, আমার হিসাবে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় চিকিৎসালয় হল বিআর৭ অথবা আমাদের ক্যান্টনমেন্ট। মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহম্মদ দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করাবেন না। ভারতে তারা বাইর থেকে লোক এনে চিকিৎসা করাবেন- এটা ব্যক্তিগত বিষয়। তবে এটা নিয়ে রাজনীতি কেউ হিসাবে ধরে না।”

আর খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকদের একটি অংশ।

বিএসএমএমইউ’র অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নিল বলেন, “চিকিৎসা প্রক্রিয়াটা শুরু থেকে ঠিকমত যায়নি, বলা হয়েছে যে একদিন রক্ত বমি শুরু হয় এবং রাত ১টার দিকে তারা প্রথমে অ্যান্ডোসকপি করেন। বেগম জিয়ার চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসা কম, রাজনীতি বিবেচনায় আধিক্য পেয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

ডা. জাহিদ বলেন, “যাদের মেডিক্যাল সাইন্স সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সেন্স বা জ্ঞান নাই, শুধু রাজনীতির জন্য রাজনৈতিক বক্তৃতা দেয়। উনারা এই সমস্ত আজেবাজে কথা বলতে পারেন।”

লিভার, কিডনি, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিস এবং রিউমেটিক আর্থাইটিসে ভোগা খালেদার চিকিৎসার দাবি নিয়ে বিএনপির আপাতত কোন কর্মসূচি নেই। খালেদা জিয়ার পরিবার বার বার সরকারের সাথে চিকিৎসার বিষয়ে যোগাযোগ রাখার পর আইন অনুযায়ী তার পছন্দের হাসপাতালেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

এএইচ/