ঢাকা, শুক্রবার   ১০ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৭ ১৪৩১

চোখের নিমিষেই উধাও লাখ টাকার মোটরসাইকেল (ভিডিও)

আতিক রহমান পূর্ণিয়া

প্রকাশিত : ১২:৫০ পিএম, ৮ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:৫৩ পিএম, ৮ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার

চোখের নিমিষে রাজধানীর যেকোন প্রান্ত থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে লাখ টাকার মোটরবাইক। নকল চাবি কিংবা একটি ছোট যন্ত্র দিয়ে মোটরসাইকেল স্ট্যাট দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে চোর দল। এসব চোরের দলের লাগাম টানতে একরমক হিমশিম থাচ্ছে আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনী। 

সারাদেশে চলছে অসংখ্য রেজিস্ট্রেশন ছাড়া মোটরসাইকেল। বিশেষ করে সীমান্ত এবং চর এলাকা ও যেসব এলাকায় রাস্তাঘাট ভাঙ্গাচোরা সেসবে। এসব মোটরসাইকেলের বেশির ভাগ চোরাই। একটি অংশ পাশের দেশের সীমানা পেরিয়ে আসলেও বেশিরভাগই কারও না কারও চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল এটি।

সম্প্রতি ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পরে মোটরসাইকেল চোরচক্রের বড় একটি দল। এদের চুরির কায়দাও অভিনব। কলাপসিবল গেইট ভেঙ্গে বা মোটরসাইকেলের যত বড় তালা হোক সেটি ভেঙ্গে সহজে মোটরসাইকেল নিয়ে পালাত।

এবার আরও একটি দল ধরা পরে ঢাকার মুন্সিগঞ্জ থেকে। এরা প্রায় ৪ থেকে ৫শ’ মোটরসাইকেল চুরি করেছে বলে জানায় পুলিশ। 

সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, বাইরে মোটরবাইক রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ঢুকছে এক যুগল। তারা যখন আড্ডায় ব্যস্ত তখন খবরটি সাদা টি-সার্ট পরিহিত একজন পৌঁছে দেয় বাইরে থাকা অপরজনকে। এরপর মোটরসাইকেল নিয়ে সটকে পরে তারা।

যেসব বাইক শুধু লক করে রাখা হয় কিন্তু এক্সটারনাল লক বা বাড়তি কোন শেকল দিয়ে আটকানো হয় না, সেসব বাইক চোরেরা কেবল ডুপ্লিকেইট চাবি তৈরি করে সহজে নিয়ে যায়।

মুন্সিগঞ্জে এদের মতো আরও বেশ কয়েকটি চক্র ঢাকা থেকে চুরি করে নেয় মোটরসাইকেল। এদের বাইক কিনে নেওয়ারও আলাদা গ্রুপ আছে। যারা বারবার ধরা পরে, জামিনে বের হয়ে আবারও চুরি করে।

মোটরসাইকেল চুরির দায়ে অভিযুক্ত বলেন, “একবার ১৫ দিন, আরেকবার দেড় মাস জেল খাটতে হয়েছে। এরপর জামিনে বের হয়েছি।”

চোরাই মোটরবাইকের বিরুদ্ধে অভিযান চললেও আইনের ফাঁক গলে বারবার বেরিয়ে যায় অভিযুক্তরা। 

ডিবি উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, “চুরির যে ধারায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়ে থাকে, সেটাই প্রযোজ্য ধারা। সেখানে দীর্ঘসময় ধরে তাদেরকে আটকে রাখা যায় না। একটা সময় পরে তারা জামিন পেয়ে যান, সেটা তাদের জন্য অনুপ্রেরণার কাজ হয়ে দাঁড়ায়।”

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, “ একাধিক অত্যাধুনিক লক সিস্টেম আছে, শুধু একটা লক দেওয়ার জন্য অনেক মোটরসাইকেল চুরি হয়ে থাকে।”

অ্যাপাচি এবং প্ল্যাটিনাম ব্যান্ডের মোটরবাইকগুলো বাড়তি লক না থাকলে সহজেই যেকোন চাবি দিয়ে র্স্টাট দেয়া যায় বলে জানায় চোর দলের সদস্যরা।

এএইচ/