ঢাকা, বুধবার   ২২ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

কর্মযজ্ঞ হারিয়েছে রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, বেতন-ভাতায় টান (ভিডিও)

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:২৫ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০১:৪৩ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২২ রবিবার

চিনিকলগুলোর প্রয়োজনীয় নানা যন্ত্রাংশ তৈরির একমাত্র ভারি প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়ার রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি। একসময়ের লাভজনক প্রতিষ্ঠানটি এখন লোকসান গুণছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, ৬টি চিনিকল বন্ধ হয়ে যাওয়া, বিভিন্ন মিলের কাছে বকেয়া থাকা ও করোনা পরিস্থিতিসহ নানা কারণে কমে গেছে আয়।

গড়াই নদীর পাড়ে ১৮৮১ সালে ৩৯ দশমিক ৯৬ একর জায়গার উপর স্থাপিত হয় যজ্ঞেশ্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ। দেশভাগের পর প্রতিষ্ঠানটি রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি নামে পরিচিতি লাভ করে। সরকারি মালিকানাধীন এই কারখানায় চিনিকলগুলোর জন্য মেশিন ও ২৯ ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয়।

সম্প্রতি দেশের ১৫টি চিনিকলের ৬টি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কারখানায় কাজ কমে গেছে ৪০ শতাংশ। এতে বিপাকে শ্রমিক-কর্মচারীরা।

শ্রমিকরা জানান, “কাজ কমে যাওয়ার কারণে অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক ঘাটতিতে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সময়ের বেতন সময়ে হয় না। ২০১৫ সালে সরকার যে স্কেল দিয়েছে সেই এরিয়ার টাকা এখনও পাইনি।”

রেনউইক জিএম (প্রশাসন) আকুল হোসেন বলেন, “কর্পোরেশনের মাধ্যমে যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কিছু কাজ পাই, তাহলে প্রতিষ্ঠান ঘুরে দাঁড়াবে।’

সিবিএ নেতারা জানান, ২০০৩-০৪ অর্থ বছর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থ বছর পর্যন্ত লাভেই ছিলো প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকে লোকসান শুরু হওয়ায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতাসহ নানা তহবিলে টান পড়তে শুরু করেছে।

রেনউইক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন বলেন, “যেহেতু ৬টি মিল বন্ধ, এই মিলের সাথেই তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল। ওই মিলগুলোর বকেয়াগুলো এখন পাওয়া যায়নি।”

সিবিএ সভাপতি সেলিম রেজা রিপন বলেন, “গত জানুয়ারি মাসের বেতন এখনও পাইনি। এর আগের বেকয়া বেতন কর্মচারীরা পেলেও এখনও কর্মকর্তা পাননি।”
 
কর্তৃপক্ষ বলছে, বিকল্প উপায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। 

রেনউইক এমডি আল ওয়াদুদ আমিন বলেন, “এই ব্যবসা পুনরুদ্ধারে আমরা নানামুখী প্রস্তাবনা প্রেরণ করেছি। প্রস্তাবিত বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হলে রেনউইক আবার লাভের মুখ দেখবে।”

বন্ধ চিনিগুলো চালু অথবা সরকারি অন্য কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রাংশ তৈরির সুযোগ দিয়ে প্রায় দেড়শ’ বছরের প্রাচীন প্রতিষ্ঠানটি সচল রাখার দাবি শ্রমিক-কর্মচারীদের।

এএইচ/