ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

‘‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান হওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ সম্মানিত’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৪ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৩:৪৭ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২২ শনিবার

‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আর এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগানের স্বীকৃতি পাওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ আরো সম্মানিত হয়েছেন। 

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে দোহার উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

’৭৫ পরবর্তী ২১ বছর ক্ষমতাসীনরা জয় বাংলাকে মেনে নিতে পারেনি উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাঙালির স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সবাইকে জানতে হবে। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, কোন ব্যক্তি বা দলীয় নয়, ‘জয় বাংলা’ আজ জাতীয় স্লোগানের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের রণাঙ্গনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান স্বাধীনতাকে আরো ত্বরান্বিত করেছিল। এই স্লোগান বাঙালির অস্তিত্বের স্লোগান।”

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আরও মনে করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির অহংকার, তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের কাছ থেকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আগামীর প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় থাকায় দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তার সুফল কি শুধু আওয়ামী লীগই পাচ্ছে? দল-মত নির্বিশেষে সবাই আজ উন্নয়নের সুবাস পাচ্ছেন।

পরে দোহার-নবাবগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন সালমান এফ রহমান। এর আগে, নবাবগঞ্জ পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে পুলিশ, আনসার ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।

দোহার-নবাবগঞ্জকে মডেল উপজেলায় পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সালমান এফ রহমান বলেন, “আমি নির্বাচনের সময় দোহার-নবাবগঞ্জবাসীকে যে ওয়াদা দিয়েছিলাম আশা করি তা খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন করে এই দুই উপজেলাকে আধুনিক মডেল উপজেলায় পরিণত করবো। আধুনিক উপশহর করতে আমি যে মাস্টার প্ল্যান করেছি তা অতি শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে। এতে পাল্টে যাবে দোহার নবাবগঞ্জের মানুষের জীবনযাত্রা।”
আরএমএ/ এসএ/