ঢাকা, রবিবার   ১২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৮ ১৪৩১

পালাতে গিয়ে ২৫০ কোটি টাকাসহ ধরা রাজনীতিবিদের সুন্দরী স্ত্রী!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২৮ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২২ শনিবার

ইউক্রেনের সাবেক সাংসদ ইগর কোটভিটস্কির সুন্দরী স্ত্রী আনাস্তাসিয়া

ইউক্রেনের সাবেক সাংসদ ইগর কোটভিটস্কির সুন্দরী স্ত্রী আনাস্তাসিয়া

সীমান্ত অতিক্রম করে ইউরোপে প্রবেশকালে ২৯ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫০ কোটির বেশি) নিয়ে ধরা পড়লেন ইউক্রেনের রাজনীতিবিদ ইগর কোটভিটস্কির সুন্দরী স্ত্রী আনাস্তাসিয়া। ডলার এবং ইউরো মিলিয়ে এই বিপুল অর্থ ইউক্রেন থেকে পাচার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। 

আনাস্তাসিয়া কোটভিটস্কি ইউক্রেনের বিশিষ্ট বিত্তশালী তথা সাবেক সাংসদ ইগর কোটভিটস্কির স্ত্রী। অর্থ পাচারকালে তা হাঙ্গেরির আবগারি দফতরের নজরে পড়ে বলেও জানা গেছে।

এই বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থসহ একটি সন্দেহভাজন ছবি ইতোমধ্যেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ পাচারের চেষ্টা করার জন্য আনাস্তাসিয়ার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে কিয়েভের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

সেয়ার খুশুতভ নামে কিয়েভের এক ব্যবসায়ীও মূলত বিপুল এই অর্থ পাচারের বিষয়টি জনসমক্ষে নিয়ে আসেন। যদিও ইগর কোটভিটস্কি জানান, তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য দেশ ছাড়ছেন। তবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

সামাজিক মাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আগে ইগর বলেন, ‘‘আমার সমস্ত অর্থ ইউক্রেনের ব্যাঙ্কে আছে। আমি কিছুই বের করিনি।’’

ইগরের প্রথম পক্ষের মেয়েও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে অভিযোগটি নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করেন নি ইগরের সুঞ্চরী স্ত্রী আনাস্তাসিয়া। বিতর্কিত দিনে তিনি নিজের মা এবং হাঙ্গেরির অপর দুই পুরুষের সঙ্গে ভ্রমণ করেছিলেন বলেও জানা যায়।

আনাস্তাসিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইউক্রেনের ভিলক চেকপয়েন্ট দিয়ে প্রস্থান করার সময় এই বিপুল পরিমাণ টাকার কথা জানাননি। কিন্তু পরে হাঙ্গেরিতে পৌঁছে অর্থ সঙ্গে নিয়ে আসার কথা জানান। 

ইউক্রেনে ইতোমধ্যেই গুজব উঠেছে যে, কিয়েভ-মস্কো সঙ্ঘাতের আবহে ইউক্রেনের বিত্তশালীরা নিজেদের অর্থ নিয়ে বিদেশে পালাতে চাইছেন।

ইগর কোটভিটস্কি মূলত ইউক্রেনের পারমাণু শক্তি দ্বারা চালিত ব্যবস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ছাড়াও তিনি ইউক্রেনের ইউরেনিয়ামের মজুত করার বিভিন্ন বিষয়গুলোও নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু বর্তমানে রাশিয়া এই মজুতের বেশ খানিকটা দখলে নিয়েছে।

ইউক্রেনের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্সেন অ্যাভাকভের সঙ্গেও ইগরের ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে।

এদিকে, ইতোমধ্যেই ভিলক চেকপয়েন্টের সীমন্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হবে বলেও জানা গেছে। কারণ মনে করা হচ্ছে যে, অর্থ পাচার করার বিষয়ে তারা অবগত ছিলেন। সূত্র- ডেইলি মেইল।

এনএস//