ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

জয় দিয়ে আইপিএল শুরু কলকাতার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫১ এএম, ২৭ মার্চ ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০৮:৫৩ এএম, ২৭ মার্চ ২০২২ রবিবার

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটের ১৫তম আসর শুরু হয়েছে শনিবার। উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাইকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে জয় তুলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই জয়ের মধ্য দিয়ে গত আসরে হারের প্রতিশোধও নিল দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।

আইপিএলের গত আসরে ফাইনালসহ তিনবার মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। তিনবারই পরাজিত হয়েছিল কলকাতা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেদনাদায়ক ছিল শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালের হার।

শনিবার রাতে  মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৬ উইকেটে জিতেছে নাইটরা। আগে ব্যাট করতে নেমে ১৩১ রানের বেশি করতে পারেনি গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। যা কি না ৪ উইকেট হারিয়ে নয় বল হাতে রেখেই টপকে গেছে শ্রেয়াস আইয়ারের দল। 

যার সুবাদে দারুণ জয়েই শুরু হলো তাদের আইপিএল।

ম্যাচের শুরুটা অবশ্য হয়েছিল বেশ আবেগি এক আবহে। প্রথম আইপিএল জয়ী অধিনায়ক শেন ওয়ার্নকে শ্রদ্ধা জানানো হয় এদিন।

চেন্নাইয়ের করা ১৩১ রানের জবাবে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৩ রান যোগ করেন অজিঙ্কা রাহানে ও ভেংকটেশ আইয়ার। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর ১৬ বলে ১৬ রান করে আউট হন ভেংকটেশ, রাহানের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৪৪ রান।

এরপর নিতিশ রানা ১৭ বলে ২১ ও স্যাম বিলিং ২২ বলে ২৫ রানের দুইটি মাঝারি ইনিংস খেলে বিদায় নেন। তবে অধিনায়ক শ্রেয়াস শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ২০ রানের ইনিংসে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। আরেক ব্যাটার শেলডন জ্যাকসন করেন ৩ রান।

বড় পরাজয়ের ম্যাচে বল হাতে ৩ উইকেট শিকার করেছেন ডোয়াইন ব্রাভো। যার সুবাদে লাসিথ মালিঙ্গার সঙ্গে যুগ্মভাবে এখন আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি। দুজনেরই আইপিএল ক্যারিয়ারে উইকেট সমান ১৭০টি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রিতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চেন্নাই। গায়কোয়াড় শূন্য রানে আউট হয়ে যান। কনওয়ে করেন ৩ রান।

রবিন উথাপ্পা ২৮, আম্বাতি রাইডু ১৫ রান করে আউট হয়ে যান। ইনিংসকে বড় করতে পারেননি তারা। শিবাম দুবে আউট হন ৩ রানে। রবিন্দ্র জাদেজা ২৮ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।

তবে দলটির সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি দলীয় সংগ্রহকে টেনে নিয়ে যান। তিনি ৩৮ বলে ১টি ছক্কা এবং ৭টি বাউন্ডারিতে ৫০ রান করে থাকেন অপরাজিত।

কলকাতার হয়ে উমেষ যাদব ২টি, বরুন চক্রবর্তি এবং আন্দ্রে রাসেল ১টি করে উইকেট নেন। তবে সুনিল নারিন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৫ রান।

পাওয়ার প্লের ৩ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে দুই ওপেনারকে ফেরত পাঠিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন পেসার উমেষ যাদব।

এএইচ/