ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বিধ্বস্ত বাংলা এখন উন্নয়নের আখ্যান (ভিডিও)

অখিল পোদ্দার

প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার

একাত্তরের বিধ্বস্ত বাংলা এখন বহু উন্নয়নের আখ্যান। যে দেশের কোটি মানুষ ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের দুর্বার অভিযানের কাছে পাকসেনাদের পরাজয় নিশ্চিত। তা মনে করেই আত্মসমর্পণের আগে বহু অবকাঠামো ধ্বংস করেছিল সামরিক জান্তারা।

৩শ’র বেশি রেলসেতু, সাড়ে তিনশ’ রাস্তা, অসংখ্য কালভার্ট ধ্বংস করেছিল পাকবাহিনী। ডুবিয়ে দিয়েছিল ২৯টি জাহাজ। জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করেছিল বহু বাড়িঘর, বিদ্যুৎ স্টেশন, টেলিফোন ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। পাকশি রেল সেতু ছাড়াও তিস্তা ও ভৈরবের মতো বড় সেতু ধ্বংস হয়েছিল একাত্তরে। 

পোড়ামাটিনীতি অবলম্বন করা পাকিস্তানের ধ্বংসযজ্ঞের পরে ১৯৭২ থেকে ২০২২ সাল অব্দি আমূল ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।

৩০ লাখ শহীদের আত্মবলিদান আর পোড়ামাটির ঘ্রাণে জন্ম হয়েছিল প্রিয় যে মাতৃভূমির গেলো ৫০ বছরের ব্যবধানে অনেকের কাছেই তা রোল মডেল। ফিনিক্স পাখির মতো একাত্তরের ছাইভষ্ম থেকে জন্ম নেয়া এদেশের ১৬ কোটি মানুষের মুখে আর বুকে সমৃদ্ধির ঘ্রাণ। 

অবকাঠামো বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। সড়ক, নৌ এবং রেলে বরাদ্দ সেইভাবেই রেখেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন ভঙ্গুর যে যোগাযোগ ব্যবস্থা এটা মেরামত করা, পুনর্গঠন করার পাশাপাশি দেশকে যদি আরও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে হয় তাহলে বড় মাপের অব্কাঠামো করতে হবে। তখনই তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিরবিচ্ছিন্ন হবে।”

এরইমধ্যে দেশের ৭৮ হাজার গ্রামের মধ্যে ৭০ হাজারই পেয়েছে রাস্তা। বিদ্যুৎ আলো ফেলেছে দূরগ্রামের ঘরে-বাজারে। 

অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, “পাশপাশি দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অভূতপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গ্রামাঞ্চলে যেটা তৈরি হয়েছে এটা ঈর্ষণীয়। অন্যান্য দেশে কিন্তু সেই ফ্যাবরিকটা নাই। যার ফলে প্রতিটা গ্রাম এখন মার্কেট অ্যাকসেস পাচ্ছে।”

আছে চ্যালেঞ্জ, রয়েছে বাস্তবায়নের ঝুঁকি। সবমিলে আর ক’দিনের ব্যবধানে বদলে যাওয়া অর্থনীতির গল্প শোনাবে ৫০ পেরুনো বাংলাদেশ।

এই অবকাঠামো বিশেষজ্ঞ আরও জানান, “পয়সার ঘাটতি নাই, এখন পরিকল্পনাটা যদি স্মার্ট করতে পারি তাহলে দেশও একদিন স্মার্ট হবে। পরমুখাপেক্ষি থাকব সেটা নয়, আমরা এখন বড় উন্নয়ন নিজেরাই করতে পারি, অর্থায়ন যোগাড় করতে পারি। এই ধরনের বডি ল্যাঙ্গুয়েজটা অত্যন্ত দরকার। সেই হিসাবে আমি বলব, সব আয়োজন ঠিক আছে, এখন শুধু সমন্বিত সংঘর্ষবিহীন একটা সুন্দর উন্নয়ন যদি করতে পারি এটা ভারসাম্য হবে, বহুমাতৃক হবে।”

এএইচ/