ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, শ্রীলঙ্কায় কারফিউ

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৮:৪৪ এএম, ১ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার

ছবি: রয়টার্স

ছবি: রয়টার্স

অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় গেল কদিন ধরেই চলছে সাধারণ মানুষের অসন্তোষ। এবারে টানা ১৩ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। এর প্রেক্ষিতেই রাজধানী কলম্বোয় কারফিউ জারি করেছে দেশটির সরকার। 

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনের বাইরে জড়ো হয় একদল বিক্ষোভকারী।

তারা রাজাপাকসের বাসভবন ঘেরাওয়ের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।

পরে পুলিশের পক্ষ থেকে কারফিউ জারির ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে বিক্ষোভের সময় রাজাপাকসে তার বাসভবনে ছিলেন কিনা সেটি স্পষ্ট নয়। পুলিশের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।

পুলিশের মহাপরিদর্শক সিডি বিক্রমরত্নে এক বিবৃতিতে বলেছেন, কলম্বোর বেশিরভাগ জেলায় ‘পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত’ কারফিউ অব্যাহত থাকবে।

কলম্বোর মিরিহানা জেলায় শত শত বিক্ষোভকারী পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে রাজাপাকসের ব্যক্তিগত বাসভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা ‘গোটা বাড়ি যাও’, ‘গোটা একজন স্বৈরশাসক’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়। ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিওতে একটি পুলিশ বাসে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। এছাড়া একজন ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে।

তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের জেরে সৃষ্ট গণঅসন্তোষের জেরে রাস্তায় নেমে আসা বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করেছে।

২১ বছরের একজন বিক্ষোভকারী মোহাম্মদ আসরি বলেন, ‘অর্থনীতি এতটাই খারাপ যে আমরা ঠিকমতো দুই বেলা খেতে পারি না। আমার জীবনে এত খারাপ পরিস্থিতি দেখিনি। গোটাকে (প্রেসিডেন্ট) সরে যেতে হবে।’

স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার অভাবে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। দাম পরিশোধ করতে না পারায় জীবন রক্ষাকারী ওষুধ থেকে শুরু করে সিমেন্ট পর্যন্ত সব গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে।

লোকজনকে জ্বালানির জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে। কাগজের অভাবে স্কুলের পরীক্ষা ও দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ সংকটে এমনকি সড়কবাতিও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এসবি/