ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

বিদেশিদের কাছে বাড়ি বিক্রি বন্ধ করছে কানাডা

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৯:২৪ এএম, ৮ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার

বিদেশিদের কাছে বাড়ি বিক্রি আগামী দু'বছরের জন্য বন্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডার সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের বাজেট পরিকল্পনার মধ্যে রাখা হবে বলে জানাচ্ছে নিউইয়র্ক-ভিত্তিক অর্থনৈতিক খবরের চ্যানেল ব্লুমবার্গ।

খবরে বলা হয়েছে, কনাডায় হাউজিং মার্কেট যেভাবে ফুলে ফেঁপে উঠছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার তাকে সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে।

গত দু'বছরে কনাডায় বাড়ির দাম ৫০% বেড়েছে। ব্যাংক অফ কনাডায় সুদের হার বাড়ানোর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সে দেশের বিভিন্ন শহরে রেকর্ড সংখ্যক বাড়ি বিক্রি হয়েছে।

আর বাড়ির দাম আকাশ-মুখী হওয়ার পেছনে একটি কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে পাচার হওয়া কালো টাকা।

তবে কনাডায় পড়াশুনা করছেন এমন ছাত্র, কনাডিয়ান কোম্পানির বিদেশি কর্মী এবং সে দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী বিদেশিদের ওপর বাড়ি কেনার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।

কনাডা থেকে প্রকাশিত অর্থনীতি বিষয়ক সংবাদপত্র ফিনানশিয়াল পোস্টের এক নিবন্ধে ডায়ান ফ্রান্সিস লিখেছেন, কালো টাকা সাদা করার জন্য কনাডা এক নম্বর দেশে পরিণত হয়েছে।

সে দেশে 'স্নো ওয়াশিং' শব্দ চালু হয়েছে যা দিয়ে কালো টাকা বরফের মতো সাদা করা যায়। আর এর জন্য ব্যবহার করা হয় হাউজিং খাত।

এই কাজে জড়িত এক শ্রেণির রিয়েলটর, হাউজিং ডেভেলপার, মর্টগেজ ব্রোকার এবং ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইনানশিয়াল ইনটেগ্রেটি (জিএফআই) সরকারের সমালোচনাও করেছে।

বাংলাদেশীদের অবদান?
ক্যানাডার হাউজিং খাতের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে এক শ্রেণির বাংলাদেশির অবদান রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সে দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী প্রবাসীদের বাইরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি নগদ অর্থ দিয়ে বাড়ি কিনেছেন বলে এর আগে সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, এসব সম্পত্তির অনেকগুলোই কেনা হয়েছে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়ার দুর্নীতির অর্থ দিয়ে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এসবি/