ঢাকা, শনিবার   ১২ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ২৮ ১৪৩২

স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ির দলিল (ভিডিও)

প্রণব চক্রবর্তী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৯ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২২ সোমবার

দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে মুজিববর্ষে ভূমিহীনদের গৃহ প্রদানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের কাজ। এ দফায় ঠিকানা পাবে ৬৫ হাজার ৪৭৪ পরিবার। এবারের নির্মাণ আগের তুলনায় অনেক বেশি মজবুত। 

শুধু ইট রড আর সিমেন্টে বালু দিয়ে গাঁথুনি নয়, এ যেনো নতুন স্বপ্নের বুনন। 

দুই শতাংশ জমিতে দুই ঘরের পাকা বাড়ি। সাথে রান্নাঘর, বাথরুম ও একটি বারান্দা। আলোও জ্বলবে ঘরে। স্বামী-স্ত্রী দুজনের যৌথ নামে হয়েছে এসব বাড়ির দলিল। নতুন ঠিকানায় প্রাপ্তির আনন্দ। আর জমির মালিকানায় চোখে মুখে তাদের স্বপ্নপূরণের ঝিলিক।

বাড়ি পেয়ে তারা জানান, “বিভিন্ন জায়গায় থাকতে অনেক কষ্ট হত। সরকার বাড়ি দেওয়ায় অনেক খুশি।”

আরেকজন জানান, “আগে পরিচয় ছিল ভাড়াটিয়া, এখন বাড়ির মালিক। শুধু বাড়ি নয় দুই শতাংশ জমিরও মালিক।”

সারাদেশে মুজিববর্ষে গৃহ প্রদানের তৃতীয় পর্যায়ে পুনর্বাসিত হবেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ। প্রথম পর্যায়ের বাড়িগুলোর কিছু ত্রুটি চোখে পড়ায় এবার অনেক বেশি সাবধানী নির্মাণ। আরসিসি ঢালাইয়ের উপর গ্রেট বিম ও কলাম। পুরো ঘরে দেয়া হয়েছে লিনটেল। আগের চেয়ে ৬৯ হাজার টাকা বেড়ে তৃতীয় ধাপে ঘর প্রতি বরাদ্দ ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।

আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মো. ফেরদৌস খান বলেন, “এই গ্রেট বিমটির ফলে পুরো ঘরটি অনেক বেশি মজবুত হয়েছে। বারান্দার তিন পিলারকে আরসিসি বেইজড করা হয়েছে। ডিজাইন অনুযায়ী সারাদেশে কাজগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে দেখভাল করছে স্থানীয় প্রশাসন।

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, “আশ্রয়ণ প্রকল্পটি কোন একার বিষয় নয়। এটির জন্য জেলা কমিটি ও উপজেলা কমিটি রয়েছে। সবাই মিলে এর তদারকি করে যাচ্ছেন।”

শুধু কথার কথা নয়, সবহারা মানুষকে দেয়া ঘরগুলো লাল সবুজের বাংলাদেশের মর্যাদাকে বিশ্বে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।

প্রথম পর্যায়ে যে বাড়ি দেওয়া হয়েছিল সেই বাড়ির তুলনায় এবার যেসব গাড়ি তৈরি করা হচ্ছে সেগুলো অনেক মজবুত এবং টেকসই করে গড়ে তোলা হচ্ছে। কেননা এখানে যারা বসবাস করবেন তারা যেন নিশ্চিন্তে নিঃভাবনায় দীর্ঘদিন থাকতে পারেন। 

এএইচ/