এক বছরে বিশ্বের আড়াই লাখ বর্গকিলোমিটার বন ধ্বংস
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫০ এএম, ২৯ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার

২০২১ সালে বিশ্বে ২ লাখ ৫৩ হাজার বর্গকিলোমিটার বন উজাড় হয়েছে। বৈশ্বিক বনভূমি পর্যবেক্ষক সংস্থা গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংস হওয়া বনভূমি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ামিং অঙ্গরাজ্যের সমপরিমাণ। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ মানবসৃষ্ট নানা কারণে রেকর্ড পরিমাণ বনভূমির ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
যার মধ্যে অন্যতম রাশিয়ার দাবানল ও ব্রাজিলের আমাজন বনভূমি ধ্বংস করা। এদিকে. বনভূমি উজাড়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ব্রাজিল। দেশটিতে ৪০ শতাংশ বন ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডব্লিউআরআইয়ের বিশ্লেষকেরা এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, প্রচুর পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণের কারণে বন জলবায়ু পরিবর্তনের ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু দ্রুত বনভূমি ধ্বংসের কারণে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
এর আগে গত বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বের ১০০ নেতা জলবায়ু সুরক্ষায় যে পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির কোনো মিল নেই।
পরিবেশ বিশ্লেষকেরা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বনভূমি উজাড় বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিশ্বনেতারা। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি পালন করা হচ্ছে না।
ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের বৈশ্বিক বনভূমি কর্মসূচির পরিচালক রড টেলর ২০৩০ সালে বনভূমি-সম্পর্কিত বিশ্বনেতাদের প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে বলেন, আমরা বনভূমি ধ্বংস কমতে দেখছি না। বস্তুত আমরা তেমনটাই দেখার প্রত্যাশী ছিলাম।
তিনি বলেন, এটা চরম দুশ্চিন্তার বিষয়। আমরা দেখছি- বারবার আগুন ধরছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যা হতো, তার চেয়েও আরও তীব্র ও বিস্তৃত দাবানল তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে।
ডব্লিউআরআইয়ের বিশ্লেষকেরা আরও বলেন, গ্রীষ্মাঞ্চলের ৩৭ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার পুরোনো চিরহরিৎ বনভূমি যে পরিমাণ কার্বন ধরে রাখে, তা উজাড় হওয়া নানা দিক থেকে উদ্বেগের বিষয়। তবে আগের বছরের চেয়ে বনভূমি ধ্বংসের হার এ বছর প্রায় সমান হলেও কার্বন নির্গমনের বিষয়টি উদ্বেগের।
এসবি/