ঢাকা, সোমবার   ০৪ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২০ ১৪৩১

বৃষ্টির বাগড়ায় পর্যটক শূন্য সুন্দরবন

আবুল হাসান, মোংলা

প্রকাশিত : ০৪:৪৫ পিএম, ৩ মে ২০২২ মঙ্গলবার

বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট প্রাণ প্রকৃতির আধার সুন্দরবন। নৈসর্গিক এ বনাঞ্চল ঘিরে দেশি বিদেশি দর্শনার্থীদের রয়েছে নানা কৌতূহল। ভ্রমনপিপাসু প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটে আসেন এখানে। আর বিভিন্ন উৎসব হলেতো কথাই নেই। উপচে পড়া ভীড় লেগে থাকে বনের অপরুপ সৌন্দর্য দেখতে। 

কিন্তু এবারের ঈদে ভিন্ন রুপ দেখলো সুন্দরবন। পর্যটকই আসেনি। সকালেই নামে বৃষ্টি! সাথে ঝড়ো হাওয়া। এ কারণেই সুন্দরবনে দর্শনার্থীরা ভ্রমনে আসেনি। এমন অবস্থা সুন্দরবনের পর্যটন স্পট করমজলসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পটে। করমজল পর্যটন স্পটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির জানিয়েছেন এই তথ্য।

তিনি মঙ্গলবার (৩ মে) দুপুরে বলেন, ঈদের দিন মূলত সুন্দরবনের নানা সৌন্দর্য দেখতে স্থানীয় পর্যটকরা আসেন। এরপর আসতে থাকে বাইরের পর্যটকরা। কিন্তু ঈদের দিনের সকালেই ঝড়ো বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বন দেখতে তেমন কোনও পর্যটক আসেনি। মাত্র ১০ থেকে ১৫ জন ছোট ছোট বাচ্চারা এসেছে। অথচ শুধু ঈদের দিনেই পর্যটক আসার কথা হাজেরখানেক। প্রতি বছর শীত মৌসুমের পর বিভিন্ন উৎসবে পর্যটকে ঠাসা থাকে সুন্দরবন। কিন্তু এবারের চিত্র একেবারে ভিন্ন বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, সুন্দরবনে করমজল, হাড়বাড়িয়া, হিরণপয়েন্ট, নীল কমল, কটকা-কটিখালী, দুবলাসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পট রয়েছে। এসব পর্যটন ঘিরে বিভিন্ন উৎসবসহ শীতে দেশি বিদেশি পর্যটকদের ভীড় লেগে থাকত। এমনকি পর্যটকদের ঢলে হিমশিম খেতে হতো বনপ্রহরীদের। কিন্তু এখন অলস সময় কাটাচ্ছেন তারা।

তবে ভ্রমনে অবস্থাপনা, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার অভাব, দর্শনীয় এলাকাগুলো আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে না তোলাসহ নানা কারণেই ভ্রমন পিপাসুদের আকৃষ্ট করতে পারছেনা সুন্দরবন বিভাগ। সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, পাশবর্তী অনেক দেশ রয়েছে তাদের আয়ের অন্যতম উৎস পর্যটন খাত। সুন্দরবনে দর্শনীয় স্পটগুলোতে সেভাবে গড়ে তুলতে পারলে আমাদেরও এ থাত থেকে বিদেশিদের মত রাজস্ব আদায় করা যাবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।

পূর্ব সুন্দরবনের ডিএফও (বিভাগীয় বনকর্মকর্তা) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে সুন্দরবনের ১১ টি পর্যটন স্পটগুলো দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগেতো কারও হাত নেই। তারপরও ঈদের পরদিন থেকে পর্যটক আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে সুন্দরবনে পর্যপটন স্পটগুলোতে পর্যটক টানতে ২৫ কেটি টাকার প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে জানিয়ে বন কর্মকর্তা বেলায়েত বলেন, শিগগিরই পর্যটকদের বিনোদন দিতে সেই প্রকল্পগুলোতে কাজ চলছে।

এসি