ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার মৃতের পরিচয় মিলেছে, মূলহোতা গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:০১ পিএম, ৯ মে ২০২২ সোমবার

মূলহোতা ভাগ্নে আনছারুল করিম

মূলহোতা ভাগ্নে আনছারুল করিম

নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধারকৃত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি আনছারুল করিমকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম ওমর ফারুক (৩৮)। তিনি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে। 

আর গ্রেপ্তারকৃত আনছারুল করিম উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। সম্পর্কে নিহত ওমর ফারুক গ্রেপ্তারকৃত আনছারুল করিমের মামা হন।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর চাকলা গ্রামের হারুনের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে ২০১৮ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আনছারুল করিমের। কিন্তু পারিবারিক বিরোধের জেরে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল এলাকার কাজীর মাধ্যমে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ (তালাক) হয়ে যায়। 

এ ঘটনায় আনছারুল করিম ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী শারমিনের পরিবারকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী তার মামা ওমর ফারুককে কৌশলে গত ৫ মে শারমিনদের বাড়িতে নিয়ে আসেন আনছারুল করিম। ওইদিন রাতে একজনের সহযোগিতায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে শারমিনদের সুপারি বাগানে গলায় শার্ট পেঁচিয়ে ফারুককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন করিম।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, আসামির স্বীকারোক্তি মতে, হত্যার পর ওইরাতে ফারুকের মৃতদেহ শ্বশুরবাড়ির উত্তর পাশের সেফটি ট্যাঙ্ক ফেলে চট্টগ্রাম পালিয়ে যায় করিম ও তার সহযোগী রাসেল। রোববার (৮ মে) দুপুরে সেফটি ট্যাঙ্ক থেকে লাশ উদ্ধার এবং অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসপি শহীদুল ইসলাম জানান, স্ত্রী ও শ্বশুরের পরিবারের লোকজনকে ফাঁসাতেই মূলত আনছারুল করিম এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এনএস//