ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

বাংলাদেশের পরিস্থিতি কখনই শ্রীলংকার মতো হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৮ পিএম, ১১ মে ২০২২ বুধবার

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি কখনই শ্রীলংকার মতো হবে না। বিএনপি দ্বিবাস্বপ্ন দেখছে, ক্ষমতার এসে তারা আবার দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাবে। 

তিনি বলেন, জনগণ তাদের সাথে নয়, জনগণের আস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আছে। জনগণ জানে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই। কারণ তিনি জনগণকে যা প্রতিশ্রুতি দেন তা বাস্তবায়ন করে দেখান।

বুধবার (১১ মে) খুলনা শিপইয়ার্ড লি: এ বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য নির্মিত ১টি ফ্লোটিং ক্রেন, ২টি টাগ বোট, ৬টি হাইস্পীড বোট এবং নারয়ণগঞ্জের ডিইডব্লিউ নির্মিত ১টি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যে কোস্টগার্ডের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা এখন সত্যিকার অর্থে গার্ডিয়ান অফ সি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যের নব্বই শতাংশই সমুদ্র পথে সম্পন্ন হয়। এছাড়া প্রতিবেশি দেশসমূহের সাথে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে বিশাল সমুদ্র সম্পদের ভান্ডার আমাদের অধিকারে এসেছে। এগুলো আহরণ এবং সমুদ্রগামী জাহাজ সমূহের নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বহুমূখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কোস্টগার্ডের জন্য নির্মিত এসকল বোট হস্তান্তরের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে এসব বোট নির্মাণের জন্য খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান।

খুলনা শিপইয়ার্ড লি: কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভেন লিউইন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন, খুলনা নেভাল এরিয়ার কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল এম আনোয়ার হোসেন ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী। খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম সামছুল আজিজ এতে সভাপতিত্ব করেন।

হস্তান্তর শেষে মন্ত্রী টাগবোট ঘুরে দেখেন এবং এর কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করেন। 

টাগ বোটদ্বয় ৩৫০০ টন ওজনের যে কোন জাহাজের বার্থিং/আন বার্থিং, টোউ, পুশ/ পুল অপারেশন ছাড়াও ফায়ার ফাইটিং, অন্য জাহাজের দুর্ঘটনাকালীন সহযোগিতা, ডুবন্ত জাহাজের উদ্ধার অভিযান ইত্যাদি জরুরি কাজ সম্পাদনে ব্যবহৃত হবে। বোট দুইটি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সকল জাহাজের বিভিন্ন অফশোর সাপোর্ট কার্যাবলি সম্পাদনে সক্ষম হবে। 

এছাড়া অন্যান্য বোটগুলো দ্বারা উপকূলীয় এলাকায় নিয়মিত টহল প্রদান, চোরাচালান বিরোধী অভিযান, মাদক পাচার বিরোধী অভিযান, দূর্ঘটনা পরবর্তী উদ্বার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার ও ত্রান তৎপরতা পরিচালনা, পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ ইত্যাদি নানাবিধ কার্যক্রমসহ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সার্বিক অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

এসি