ঢাকা, বুধবার   ০১ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

মানবাধিকার সংকটে ভোগা হংকংবাসী আশ্রয় নিচ্ছে তাইওয়ানে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:১৩ পিএম, ২২ মে ২০২২ রবিবার

হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের আন্দোলন দমাতে কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি করে চীন। ওই আইন প্রণয়নের পর অঞ্চলটিতে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ব্যাপক সংকোচন হয়।

প্রতিকূল এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য লড়ে যাওয়া আন্দোলনকর্মীদের অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য নৌকায় করে তাইওয়ানে পাড়ি দিচ্ছেন। সিঙ্গাপুর পোস্টের বরাতে এই খবর জানিয়েছে দ্য প্রিন্ট। 

প্রতিবেদনে হংকংয়ের একজন শিক্ষার্থী লিন ফেই-ফ্যানের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। যেখানে জানানো হয়েছে যে ফেই একবার গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন। বেইজিং হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি করার বছরই তিনি তাইওয়ানে পালিয়ে যান। তিনি যদি হংকংয়ে থাকতেন তাহলে হয়তো এখন তাকে কারাগারেই থাকতে হতো। ফেইয়ের মতো হাজারো আন্দোলনকর্মী জেল-জুলুমের ভয়ে হংকং ছেড়ে এখন তাইওয়ানে আশ্রয় নিয়েছেন। 

২০১৯ সালে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি হংকংবাসী একটি গণবিক্ষোভ করেন। যেখানে হংকং থেকে চীনের মূল ভূখণ্ডে বন্দী হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিল, পূর্ণ গণতন্ত্র, অঞ্চলটির শাসকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। পরে এই বিক্ষোভ-আন্দোলন অনেক দীর্ঘায়িত হয়। আর এর জেরে ২০২০ সালের ৩০ জুন হংকংয়ের জন্য ‘জাতীয় নিরাপত্তা আইন’ নামে নতুন একটি আইন পাশ করে বেইজিং।

ওই আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কেন্দ্রীয় সরকার পতন, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশে করা যেকোনো কাজকে শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। আর এ ধরনের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নির্ধারণ করে চীনের কমিউনিস্ট সরকার।

এসি