ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

সব স্থলবন্দর পুরোদমে সচল, ব্যতিক্রম চাতলাপুর (ভিডিও)

মানিক শিকদার, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৮ পিএম, ২৪ মে ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:২০ পিএম, ২৪ মে ২০২২ মঙ্গলবার

করোনার প্রকোপ কমায় ভারত-বাংলাদেশের সব স্থলবন্দর পুরোদমে সচল। কিন্তু ব্যতিক্রম মৌলভীবাজারের চাতলাপুর বন্দর। এখান দিয়ে যাত্রীরা ভারতে যেতে পারছেন না। অন্যদিকে, ভারতের কৈলাশহরের মনু স্থলবন্দর দিয়ে আসতে পারছেন না বাংলাদেশি ভিসাধারীরা।

ওপারে ভারত, এপারে বাংলাদেশ। মাঝখানে কাঁটাতারের বেড়া।

রানা মল্লিক ভারতে কৈলাসশহরে বসবাসরত অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে যাত্রা করেছিলেন এই পথ দিয়ে। কিন্তু অনাকাঙ্খিত বাধায় পরিবারসহ পড়েছেন চরম বিপাকে। এভাবেই ভারতীয় আত্মীয়ের কাছে দুর্ভোগের বর্ণনা দিচ্ছেন।   

পাসপোর্ট, ভিসা ও প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও যেতে পারছেন না গন্তব্যে।

রানা মল্লিক জানান, “তারা বলছে যে, যশোর দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এখান থেকে যশোর তো অনেক দূর।”

এমন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন অনেকেই। ভারতীয় হাইকমিশনের সিলেট অফিস থেকে ভিসা নিয়ে চাতলাপুর স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যেতে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়।

এক যাত্রী জানান, “অনেক সমস্যা, সিলেট যেতে হবে আবার। সেখানের প্রধান অফিস বলতে পারবে কোন জায়গায় যাওয়া লাগবে বা না লাগবে।”

দেশের অন্যান্য অভিবাস কেন্দ্র দিয়ে যাত্রীরা ভারতে যাওয়া আসা করতে পারছেন। কেবল মাত্র এ পথে আটকে যাচ্ছেন ভারত গমনেচ্ছুরা। যার ফলে যাত্রীদের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও লোকসান গুণছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী নিজামুল ইসলাম বলেন, “আমাদের অনেক ক্ষতি। এখানে যাত্রী আসা-যাওয়া করত কিন্তু এখন দোকানপাটের কোন ক্রেতা নেই। তাই বেচা-কেনাও নেই।”

এ বিষয়ে চাতলাপুর স্থল অভিবাসন কেন্দ্রের কর্মকর্তা জানান, এ পথে যাত্রী যাতায়াত শুরু করতে এখনও নির্দেশনা পাননি তিনি।  

চাতলাপুর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, “এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে কোন আদেশ পাইনি। আদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কার্যক্রম চালু করবো।”

যাত্রী পারাপার না হলেও পণ্য পরিবহন হচ্ছে এই স্থলবন্দর দিয়ে। যাত্রীদের দাবি, দ্রুত এই বন্দরটি চালু করা হোক।

এএইচ/