ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ঔষধি গুণের চিয়াসিড চাষে ভাগ্য পরিবর্তন (ভিডিও)

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:০৬ পিএম, ২৮ মে ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০১:৩১ পিএম, ২৮ মে ২০২২ শনিবার

মানবদেহে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ ঔষধি গুণে ভরপুর চিয়াসিড। হাড়ে আনে সুস্থতা, কমায় রক্তের সুগার লেভেল, ত্বকে সংক্রমণের মাএা ও ওজন। মেক্সিকান মরুভূমির সালভিয়া হপ্পনিকা শ্রেণীর উদ্ভিজ্জ শস্যদানাটি এবার উৎপাদিত হচ্ছে বাংলাদেশে। কম খরচে আবাদযোগ্য ফসলটির চাষে ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ পেয়েছেন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের চাষিরা। 

দেশে নতুন হলেও ক্যালিফোর্নিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা, কানাডা এবং ব্রিটেনে বেশ জনপ্রিয় চিয়াসিড। কালো ও শ্বেতবর্ণের ছোট আকৃতির বীজটির স্বাদ অনেকটা পুদিনা পাতার মতো। খাদ্যমান বেশ উচ্চমাত্রার।

স্থানীয় এক প্রবাসীর প্রায় ৭ একর জমিতে প্রথমবারের মতো চিয়াসিডের চাষ করেন দুর্গাপুর গ্রামের সেলিম আল মামুন বাবু। প্রতি ৩০ শতকে ১শ’ থেকে ১২০ কেজি পর্যন্ত ফলনের আশা করছেন এই কৃষক। আর প্রতি কেজি চিয়ার বাজার মূল্য এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকা।

স্থানীয় চিয়া চাষিরা বলেন, “এটা চাষাবাদে খরচ খুবই কম এবং লাভ অনেক বেশি। প্রতি একরে খরচ ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা, আর ফসল বিক্রি হয়ে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।”

চিয়া চাষী সেলিম আল মামুন বাবু বলেন, “জানতে পারি, ওয়েস্টান কান্ট্রিতে এটার খুব ভ্যালু এবং এটা একটা ঔষধি ফসল। এটি ১০ ধরনের ওষুধের কাজ করে। সেই সুবাদে চিয়া চাষে উদ্বুদ্ধ হই।

চিয়া চাষের উপযোগী মাটি থাকায় এখানে উচ্চমূল্যের এ সুপার ফসল উৎপাদনে অপার সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর আবাদে তাই বিপ্লব ঘটাতে চান তারা।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আশেক পারভেজ বলেন, “প্রতি হেক্টরে গড়ে দেড় টন উৎপাদন হয়েছে। প্রতিকেজি চিয়ার বাজার মূল্য ১১শ’ থেকে ১২শ’ টাকা।”

চিয়াচাষ দ্রুত সম্প্রসারিত হয়ে পুষ্টি নিরাপত্তায় দেশ আরও এগিয়ে যাবে বলেও আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

এএইচ