ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভাইকে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৯ পিএম, ৩০ মে ২০২২ সোমবার

রায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত তুহিন

রায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত তুহিন

রাজধানীতে বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভাইকে হত্যার ঘটনায় তুহিন নামের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। শ্যামপুরের এ ঘটনায় তুহিনের ছোট ভাই এরফান ও রাব্বি নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন এবং ফুপাতো ভাই মাসুমকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে মামলার তিন আসামির উপস্থিতিতে ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফছা ঝুমা এ রায় ঘোষণা করেন। চার আসামির মধ্যে মাসুম পলাতক রয়েছেন।

আদালতের পেশকার মো. মিলন জানান, রায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত তুহিন ও আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া মাসুমকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এরফান ও রাব্বিকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়। অনাদায়ে উভয়কে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে।

রায়ের বিবরণে বলা হয়, শেখ ইসলাম পাভেল ও আসামিরা শ্যামপুরের জুরাইন এলাকায় বসবাস করতেন। তুহিন প্রায়ই পাভেলের বোনকে উত্ত্যক্ত করতেন। পাভেল প্রতিবাদ করায় দু’জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।

২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর রাতে তুহিন এলাকায় ধূমপান করছিলেন। পাভেল তাকে ধূমপান করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পাভেলকে হত্যার হুমকি দিয়ে তুহিন চলে যান।

ওই রাতেই জুরাইন নতুন রাস্তা খাদ্য ভবনের পাশে পাভেল তার বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন। এ সময় আসামিরা পাভেলের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করেন। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাভেলের মৃত্যু হয়।

নিহত পাভেলের বাবা মনির হোসেন ওই দিনই অর্থাৎ ৪ নভেম্বর শ্যামপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। দুই বছর তদন্ত করে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর মামলাটিতে চারজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন পিবিআইয়ের এসআই মাসুদ খান।

২০২১ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের ১৬ সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য শুনে বিচারক সোমবার (৩০ মে) চার আসামিকেই দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলেন।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাদীপক্ষের আইনজীবী আকলিমা আক্তার বলেন, “ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আশা করি, রায়টি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”

এনএস//