‘৫০ বছরে বিদ্যুতে সক্ষমতা বেড়েছে ৫০ গুণ’ (ভিডিও)
শিউলি শবনম
প্রকাশিত : ০৯:৫০ পিএম, ৩১ মে ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৫৮ পিএম, ৩১ মে ২০২২ মঙ্গলবার

স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিদ্যুৎ খাতে সক্ষমতা বেড়েছে ৫০ গুণ। শুধুমাত্র গত ১৩ বছরেই উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে ৫ গুণ। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সাশ্রয়ী ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবাহের পথে এগিয়ে যাবে। মঙ্গলবার (৩১ মে) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পুনর্গঠনে কাজ শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৩ সালে চেকোস্লোভাকিয়া এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় খুলনা ও ঘোড়াশালে দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থেকে বর্তমানে সাড়ে ২৫ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতায় উন্নীত হয়েছে। ২০০৯ সালেও দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট।
বিদুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হমিদ। তিনি জানান, ১৩ বছরে বিদ্যুৎ উপাদন যেমন বেড়েছে সেই সাথে ২৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বেড়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৫টিতে। ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে।
কয়েক বছরের মধ্যে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে গেলেও বছর কয়েকের মধ্যে রামপাল, এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টসহ বিভিন্ন পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। এবং আগামী ৫ বছরের মধ্যেই দ্রুততম সময়ে নিরবিচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী বিদ্যুত সরবরাহ করতে পারবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া সুবর্ণ জয়ন্তীতে সরকার নতুন জ্বালানির খোঁজ করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাই বাছাই চলছে। আগামীতে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর এটিই সবচেয়ে বড় জ্বালানি খাত হতে পারে।’
২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ ক্লিন এনার্জি বা নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে উৎপাদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরকে//