ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

আগুন নেভাতে গিয়ে নিখোঁজ শফিউলের সন্ধান মেলেনি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৩৩ পিএম, ৬ জুন ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০২:৪৮ পিএম, ৬ জুন ২০২২ সোমবার

নিখোঁজ ফায়ার সার্ভিস কর্মী শফিউল ইসলাম

নিখোঁজ ফায়ার সার্ভিস কর্মী শফিউল ইসলাম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আলোচিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন নেভাতে গিয়ে নিখোঁজ ফায়ার সার্ভিস কর্মী শফিউল ইসলামের (২২) সন্ধান এখনও মেলেনি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম শফিউলের স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ছেলের নিখোঁজের কথা শুনে বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন অসুস্থ মা।

উল্লাপাড়ার সদর ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামের আব্দুল মান্নানের বড় ছেলে শফিউল। দু’বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে তার চাকরি হয়। এরপর চট্টগ্রামের কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফায়ার ফাইটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। 

ছেলের খোঁজে রোববার রাত থেকে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকার কার্যালয়ে অবস্থান করছেন শফিউলের বাবা আব্দুল মান্নান। ভাইয়ের খোঁজে শফিউলের ছোটভাই মামুন গেছেন চট্টগ্রামে।

শফিউলের বাবা আব্দুল মান্নান জানান, “একবছর আগে শফিউল বিয়ে করেন। বর্তমানে তার স্ত্রী আঁখি খাতুন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শফিউলের মা শাহনাজ পারভীন অসুস্থ, তার ওপর ছেলের নিখোঁজের কথা শুনে তিনি এখন বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন।”

মুঠোফোনে কথা বলার সময় কান্নায় বাকরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ছেলের খোঁজ না মেলা পর্যন্ত তিনি ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়েই অবস্থান করবেন বলে জানালেন।

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম শফিউল। শফিউলের কোন খোঁজ না পেয়ে পাগলপ্রায় অবস্থা স্ত্রীর। তাদের কান্না গ্রামবাসীদের চোখেও অশ্রু ঝরছে। 

উল্লাপাড়াবাসী কামনা করছে শফিউল যেন জীবিত অবস্হায় তার বাবা-মায়ের কোলে ফিরে আসেন।

উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী স্টেশন অফিসার জালাল উদ্দিন জানান, কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে প্রথমেই কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যান। এদের সঙ্গে শফিউল আলমও ছিলেন। 

আগুন নেভাতে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটাররাও  অংশ নেয়। এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে উল্লাপাড়ার শফিউলের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।

এএইচ