ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

মূল্যস্ফীতির চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ৯ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:৩৯ এএম, ৯ জুন ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উঠছে আজ। এবারের বাজেটের আকার হতে পারে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে যা প্রায় ৬ গুণ বড়। মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে বাজেটে প্রায় ৮৩ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি থাকছে। ঘাটতি থাকতে পারে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা। 

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই নতুন বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ। বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা থাকছে সাড়ে ৭ শতাংশ।

উর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের বাজার। চরম বেকায়দায় সাধারণ মানুষ। মূল্যস্ফীতির এমন চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে আজ ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এবারের বাজেটের আকার হতে পারে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। যা ২০০৯-১০ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৬ গুণ বড়।

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যামাত্রা ধরা হচ্ছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। এরমধ্যে এরবিআরের ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি, এনবিআর-বহির্ভুত খাত ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং কর-ব্যতিত রাজস্ব থেকে আদায়ের লক্ষ্য ৪৫ হাজার কোটি টাকা। 

কিন্তু তারপরও নতুন বাজেটে ঘাটতি থাকছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। আর অনুদান বাদ দিলে ঘাটতি ছাড়াবে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। তবে সামগ্রিক ঘাটতি জিডিপির সাড়ে ৫ শতাংশ ছাড়াচ্ছে না। 

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, “প্রবৃদ্ধি যাতে অক্ষুণ্ন থাকে, যেগুলো উৎপাদনশীল খাত সেগুলোতে বিনিয়োগ বরাদ্দ থাকবে। কৃষিখাত, ব্যক্তিগত শিল্প খাতে সহায়তা দেওয়া, প্রক্রিয়াগত শিল্পগুলোতে সহায়তা দেওয়া- সেগুলো অব্যাহত থাকবে।”

এদিকে, বাজেট ঘাটতি পূরণে এবারও দেশি-বিদেশি ঋণের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। বিদেশি উৎস থেকে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা, স্থানীয় ব্যাংক-ব্যবস্থা থেকে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি। এছাড়া ৩৫ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্রসহ মোট ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক-বহির্ভুত ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকছে।  

বৈশ্বিক অস্থিরতা সত্ত্বেও মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে সাড়ে ৭ শতাংশ।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, “গরীব বা যারা মূল্যস্ফীতির কষ্ট পাচ্ছেন তাদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা ব্যয় বেশ বাড়ানো হবে।”
এএইচ