ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

বন্যায় আসাম-মেঘালয়ে মৃত্যু বেড়ে ৪২

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩০ এএম, ১৯ জুন ২০২২ রবিবার

বন্যা ও ভূমিধসে ভারতের উত্তরপূর্বের দুই রাজ্য আসাম ও মেঘালয়ে মৃত্যু বেড়ে ৪২ জনে পৌঁছেছে এবং বন্যায় দুই রাজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যাও প্রায় ৩০ লাখে পৌঁছেছে। উদ্ধার অভিযানে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। 

রোববার সকালে দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

ভারতীয় চ্যানেলটির অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকদিনের বন্যার কারণে এখন পর্যন্ত আসামে ২৪ ও মেঘালয়ে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার থেকে টানা বর্ষণে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় আরেক রাজ্য ত্রিপুরাতেও গৃহহীন হয়ে পড়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ।

গত ৬০ বছরের ইতিহাসে এবারই আগরতলায় তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হলো বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি বিভিন্ন সূত্র। বন্যার কারণে শহরটির সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

১৯৪০ সালের পর মেঘালয়ের মাওসিনরাম ও চেরাপুঞ্জিও সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত দেখেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বন্যা মৃতদের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

আসামে এরই মধ্যে বন্যায় ৪ হাজারের বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং এক লাখ ৫৬ হাজার মানুষকে ৫১৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বন্যায় রাজ্যটির একাধিক বাঁধ, কালভার্ট ও সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ভারতের উত্তরপূর্ব এ রাজ্যের হোজাই জেলায় বন্যার্তদের বহন করা একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর ২১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও এখনও তিন শিশুর খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে ফোন করেছেন এবং তিনি কেন্দ্র থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন।

বন্যা ও ভূমিধসের কারণে আটকা পড়াদের জন্য আসাম সরকার গোহাটি ও শিলচরের মধ্যে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে।

এদিকে, অরুণাচল প্রদেশেও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত সুবানসিরি নদীর পানিতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য নির্মাণাধীন একটি বাঁধ তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।

এনএস//