ঢাকা, বুধবার   ০১ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

তুরস্কে ডয়েচে ভেলে ও ভয়েস অফ আমেরিকা বন্ধ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৫ এএম, ২ জুলাই ২০২২ শনিবার | আপডেট: ১০:১৬ এএম, ২ জুলাই ২০২২ শনিবার

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাতে ফৌজদারি আদালতের একটি রায়ের পর, বিদেশী মিডিয়া ডয়েচে ভেলে এবং ভয়েস অফ আমেরিকার ওয়েবসাইটগুলো ব্লক করা হয়েছে। যার মূল কারণ হিসেবে ‘লাইসেন্স সংক্রান্ত সমস্যা’-কে দেখিয়েছে তুরস্ক সরকার।

তুরস্ক দাবি করে যে, তার নতুন ২০১৯ মিডিয়া আইনের অধীনে, তুর্কি ভাষার প্রকাশনাগুলিকে অবশ্যই দেশে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তুর্কি সম্প্রচার কাউন্সিল থেকে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। ডয়েচে ভেলে এবং ভয়েস অফ আমেরিকার উভয়েরই ওয়েবসাইটের তুর্কি ভাষার সংস্করণ ছিল। কিন্তু তারা লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেনি।

এ বিষয়ে ডয়চে ভেলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তুরস্কের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এক বিবৃতি দিয়ে ডয়চে ভেলে জানায় যে, তারা এটি মানতে পারছে না, কারণ, এতে তুর্কি সরকার তাদের কনটেন্ট সেন্সর করার অধিকার পাবে।

ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক পেটার লিমবুর্গ বলেন, “আমরা বিস্তারিতভাবে চিঠির মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগতভাবে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে কেন আমরা এই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারি না তা জানিয়েছি। যেমন, তুরস্কে লাইসেন্সকৃত মিডিয়াগুলোকে আরটিইউকের কাছে অনুপযুক্ত মনে হয়-এমন অনলাইন কনটেন্ট মুছে দিতে হয়। একটি স্বাধীন সম্প্রচার মাধ্যমের কাছে এটি অগ্রহণযোগ্য।”

যদিও এর আগেও তুরস্ক মিডিয়া সেন্সরশিপ আইন নিয়ে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর এই দেশটির যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং অনেক অনলাইন ওয়েবসাইটকে ব্লক এবং সেন্সর করে থাকে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোগানের সমালোচনাকারী অনলাইনগুলোর ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ বেশি হয়ে থাকে।

২০২৩ সালের তুরস্কে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন রয়েছে। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে তুর্কি কর্তৃপক্ষ নতুন “বিভ্রান্তিমূলক’ আইন প্রবর্তন করার কথা বিবেচনা করছে। যেখানে সরকার একমত না হলেই, এমন তথ্যের জন্য সাংবাদিকদের জেলে দেবে।
সূত্র: দ্য ব্রাসেলস টাইমস
আরএমএ/ এসএ/