ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

ঢাকা বিমানবন্দরে দুই বিমানের মধ্যে সংঘর্ষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫১ এএম, ৪ জুলাই ২০২২ সোমবার | আপডেট: ১১:৫৬ এএম, ৪ জুলাই ২০২২ সোমবার

ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবারও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি বিমানের মধ্যে হ্যাঙ্গারে (পার্কিং জোন)-এ যাবার পথে সংর্ঘষ হয়েছে। এই ঘটনায় বিমান দুটির ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রোববার (৩ জুলাই) রাতে বিমানের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইন ও বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের সঙ্গে এ সংঘর্ষ ঘটে। 

সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, “বিমানের প্রকৌশল বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। দুর্ঘটনার কারণ, ক্ষতির পরিমান তদন্ত হওয়ার পর জানা যাবে।”

জানা গেছে, রবিবার (৩ জুলাই) সিঙ্গাপুর থেকে আসে বিমানের ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ। যাত্রী নামিয়ে রাত ৯টার দিকে উড়োজাহাজটি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য হ্যাঙ্গারে নেওয়া হয়। সে সময় আগে থেকেই হ্যাঙ্গারে একটি ৭৩৭ উড়োজাহাজ ছিল। ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি ভেতরে প্রবেশ করানোর সময় ৭৩৭ উড়োজাহাজের ডানায় আঘাত লাগে। এতে ৭৮৭ উড়োজাহাজের ডান পাশের ডানা এবং ৭৩৭ উড়োজাহাজের বাম পাশের ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল একই রকম ভাবে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। সে সময় একটি বোয়িং ৭৭৭ এবং একটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই ঘটনায় ১১ মে বিমানের মুখ্য প্রকৌশলীসহ পাঁচজনকে বরখাস্ত করা হয়। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় বিমান।

ওই ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন- বিমানের মুখ্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. মাইনুল ইসলাম, সৈয়দ বাহারুল ইসলাম, সেলিম হোসেন খান এবং জিএসই অপারেটর মো. হাফিজুর রহমান।

বিমানের প্রকৌশল বিভাগের কর্মীদের অভিযোগ, জনবল সংকট, নিয়মিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ না হওয়ায় এ ধরণের দুর্ঘটনা ঘটছে। 

এ বিষয়ে বিমানের একজন প্রকৌশলী বলেন, “প্রচণ্ড চাপ নিয়ে বিমানের প্রকৌশল বিভাগের কর্মীদের কাজ করতে হয়, অন্যদিকে পর্যাপ্ত সাপোর্ট নেই। কিছু ক্ষেত্রে জনবল সংকট আছে, যার কারণে একই ব্যাক্তিকে একাধিক কাজে যুক্ত হতে হচ্ছে। ফলে ভুলবশত দুর্ঘটনা ঘটছে। কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে দুঘর্টনা ঘটাবে না। দুর্ঘটনা কমাতে কর্মীদের শাস্তি নয়, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরি করতে হবে।”

আরএমএ/এসি