ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

বাইক চলাচলে সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা (ভিডিও)

রিয়াজ সুমন, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৪ পিএম, ৭ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:০৭ পিএম, ৭ জুলাই ২০২২ বৃহস্পতিবার

লাইসেন্স ১৩ লাখ। কিন্তু মোটরবাইকের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫০ হাজার। অপরিপক্ক চালক আর ঊর্ধ্বগতির কারণে মৃত্যু বাড়ছে মহাসড়কে।

ঈদে রাজধানী ছাড়বে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। এদের ৪০ শতাংশ বাড়ি যাবে বাসে চেপে। ২০ শতাংশের বাহন হবে লঞ্চ আর ১০ শতাংশ যাবে রেলপথে। 

অল্প সংখ্যক বাড়ি যাবে আকাশপথে। আর নিম্ন আয়ের মানুষদের একটি অংশ গন্তব্যে ফিরবেন ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদযাত্রায় গণপরিবহন সংকট, মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা, অতিরিক্ত ভাড়া, রেল টিকিটে অব্যবস্থাপনা আর যানজটের কারণে বাহন হিসেবে মোটরসাইকেল বেছে নেন কেউ কেউ। গেল ঈদুল ফিতরে ২৫ লাখ মোটরবাইক ঢাকা ছেড়েছিল। এই অপ্রতিরোধ্য বাইক চলাচলের কারণে বেড়েছে দুর্ঘটনা- মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বুয়েট অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, “যিনি মোটরসাইকেল চালান, তার চারপাশে যে লোহার বাক্স থাকার কথা যেটা গণপরিবহনে দেখি সেটি কিন্তু তার নেই। ফলে তিনি যেমন উন্মুক্ত থাকেন তাতে একটি ছোট দুর্ঘটনা হলে দেখা যায় বড় আহত বা নিহত হওয়ার ঘটনা।”

বাংলাদেশ রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে ৩ হাজার ৩০৯ জন। নিহতদের মধ্যে মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহীর সংখ্যা ১ হাজার ৩১৩ জন। অর্থ্যাৎ এসব দুর্ঘটনার ৪০ শতাংশই হয়েছে মোটরবাইকের কারণে। 

এমন বাস্তবতায় আলাদা লেন নির্মাণ না করে বাহনটির উপর সরকারের নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে মত গবেষকদের। 

বাংলাদেশ রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, “মানুষ তো আসলে নাড়ির টানে বাড়ির টানে যেতে চাইবে। মানুষের এই আবেগকে পুঁজি করে একশ্রেণীর পরিবহন মালিকরা তাদের অত্যন্ত ভাঙ্গাচোড়া লক্কর-চক্কর গাড়িগুলো রাস্তায় নামিয়ে দিবেন এবং সেখানে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও অধিক মাত্রায় বাড়বে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা করলে একজন বা দুজন মানুষ মারা যায় কিন্তু এই ভাঙ্গাচোরা গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে আহত-নিহতের সংখ্যাটা বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।”

তবে, দুর্ঘটনা রোধে চালকের বয়স নির্ধারণ করে নির্দিষ্ট গতি বেধে দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, “সমস্ত মোটরসাইকেল বন্ধ না করে ছোট ছোট পলিসি যেমন বয়সসীমা নির্ধারণ করা, গুণগতমান সম্পন্ন হেলমেট পড়ছে কিনা, যিনি চালক তার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কিনা- এই বিষয়গুলো যদি আমরা নিশ্চিত করতে পারতাম এবং গতিকে যদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম তাহলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে আসতো।”

দেশে বিআরটিএ’র নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ১৩৮। এর মধ্যে ১৩ লাখের বেশি চালকেরই নেই লাইসেন্স। ব্যাপারটি রীতিমতো উদ্বেগের বলছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এএইচ