বাঁচতে হলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই (ভিডিও)
মফিউর রহমান
প্রকাশিত : ১২:৪৫ পিএম, ২২ জুলাই ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ১২:৪৭ পিএম, ২২ জুলাই ২০২২ শুক্রবার

প্রকৃতি অস্বাভাবিক আচরণ করছে। ধকল সামলাতে হচ্ছে গোটা প্রাণীকুলকে। পরিস্থিতি উত্তরণে দরকার সর্বত্র-সবুজায়ন; অধিকহারে বৃক্ষরোপণ। তবেই কেবল নির্মলতায় প্রশান্তি আসবে প্রাণে। খেলায় মাতবে প্রজাপতি। তবে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে হবে দেশি প্রজাতিকে।
বনাঞ্চল উজাড় করে হচ্ছে নগরায়ন। চলছে শিল্পায়নের মচ্ছপ। তাত্রাতিরিক্ত কার্বণ নিঃস্বরণে পৃথিবী হচ্ছে উত্তপ্ত। মেরু এলাকায় গলছে বরফ। ক্ষয় হচ্ছে ওজন স্তর। ঝুঁকিতে গোটা ধরিত্রী। সবুজায়নের দাবি জোরালো হচ্ছে বিশ্বজুড়ে।
শিল্পোন্নত দেশগুলোর অতিমাত্রার কার্বন নিঃস্বরণে প্রভাবের সাথে যোগ হয়েছে স্থানীয় অপরিকল্পিত নগরায়ন, নগরে উন্মুক্ত স্থানের অভাব, বৃক্ষহীন পরিবেশ। প্রকৃতি হারাচ্ছে স্বকীয়তা। লণ্ড-ভণ্ড আবহমান বাংলার ঋতু বৈচিত্র।
জলবায়ু পরিবর্তের ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশে দুর্যোগ বাড়ছে। দীর্ঘ খরা, আর কম সময়ে অতিবৃষ্টিসহ আকষ্মিক বন্যার কবলে পড়ছে দেশ।
ঝুঁকি কমাতে অধিকহারে বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি ছাদবাগান, পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া নগর সম্প্রসারণে উন্মুক্ত স্থান রাখাসহ বৃক্ষ-আচ্ছাদিত জায়গা বেশি রাখার পরামর্শ তাদের।
বুয়েটের পুরাকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, "ভবনে কিন্তু বাগান করা যায়, বারান্দাতেও বাগান করা যায়, এতে দেখতেও সুন্দর লাগে, কাজেও দেয়, এজন্য ভবনের নকশা করতে হবে বাগানবান্ধব হিসাবে।"
সরকারি তথ্য বলছে, দেশের প্রায় ১৫ শতাংশ বনাঞ্চল। মোট আয়তনের ন্যূনতম ২৫ শতাংশ বনাঞ্চল নিশ্চিতে সামাজিক বনায়ন জরুরি বলছেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা। এক্ষেত্রে স্থানীয় আবহাওয়া ও জীববৈচিত্র উপযোগী চারা বেছে নিতে হবে। তবেই মিলবে নির্মল বাতাস। দেখা যাবে প্রজাতির খেলা। কানে বাজবে পাখ-পাখালির ডাক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, "গত তিন দশক যেভাবে বিদেশি গাছ লাগানো হয়েছে, আগামী তিন দশক যদি দেশিয় গাছ লাগানো যায় তাহলে পরিবেশের মাঝে একটা ব্যালেন্স হবে।"
এদিকে, বর্ষা মৌসুমের কারণে গাছ চারা বিক্রি বেড়েছে বলে জানালেন নার্সারি মালিকরা। একজন বললেন, "পুরাতন ফলে জাতের গাছ গুলো ভালো বিক্রি হয়, এখনও হচ্ছে।"
ক্রেতারা বলছেন, নতুন প্রজন্মকে দেশীয় গাছ রোপনে উদ্বুদ্ধ না করলে হারিয়ে যাবে নানা জাতের ফুল-ফল। একজন ক্রেতা বলেন,"আমরা চেষ্টা করি ফলদ ও ওষধি গাছ লাগানোর চেষ্টা করি।"
ফলদ ও বনজ গাছের পাশাপাশি ঔষধী এবং দেশীয় ফুলের গাছ লাগানোর কথাও বলেন তারা।
এসবি/