ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৮ ১৪৩১

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত উদ্যোক্তারা (ভিডিও)

রফিকুল বাহার, চট্টগ্রাম থেকে

প্রকাশিত : ১২:২৯ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২২ সোমবার

পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে নির্মাণ করা হয় দেশের একমাত্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। নানা জটিলতায় বাণিজ্যকেন্দ্রটি এখনও পুরোপুরি ব্যবহার উপযোগী হয়নি। ২৪তলা ভবনের পৌনে সাত লাখ বর্গফুটের দুই-তৃতীয়াংশই খালি পড়ে আছে। অথচ প্রতিবছর বিপুল অংকের রয়্যালিটি গুণতে হচ্ছে চট্টগ্রাম চেম্বারকে। 

আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনে নির্মিত প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার তৈরির পর এখন পর্যন্ত পৃথিবীর ১০০ দেশে ৩৩০টি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম এই ধরনের আধুনিক ব্যবসা কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম চেম্বারের নেতারা।

২০১৬ সালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে রেল ও গণপূর্ত বিভাগ থেকে পাওয়া ৭৫ কাঠা জমির উপর ২৪তলা ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে এই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নির্মাণ করা। দেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দর থেকে এর অবস্থান তিন কিলোমিটার দূরে আর চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, “স্পেস তো অ্যাভেলেবল। এটার ইউটাইলেজেশনটা হয় স্যালাউট করতে হবে অথবা র‌্যানডাউট করতে হবে।”

শুরুতেই দুই কোটি টাকা দিয়ে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার থেকে নাম ব্যবহার করার অনুমতি নেয়া হয়। আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের জগতে ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার’ এক ধরনের ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ ধরনের অসংখ্য ভবন তৈরি করতে অনুমোদন লাগে নিউইয়র্ক ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের। 

চট্টগ্রাম চেম্বার এখন প্রতি বছরে ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার চট্টগ্রাম’ এই নাম ব্যবহারের জন্য ১২ লাখ টাকা করে রয়্যালিটি গুণে যাচ্ছে। মহামারি কোভিড ও চট্টগ্রামের সঙ্গে বহির্বিশ্বের বিমান যোগাযোগ সহজীকরণ না করা হলে ১৫০ কোটি টাকার এই স্থাপনার ভবিষ্যত কি হবে এই নিয়ে চিন্তিত উদ্যোক্তারা।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুব আলম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের সময়ে বলে গেছেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ঘিরে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে। কানেক্টিভিটি আসলে পরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সঙ্গে আরও কয়েকটি ফাইভ স্টার হোটেলও চলবে।”

প্রায় ৪০০ গাড়ি পার্কিং সুবিধা, ১৪টি লিফট, সাড়ে তিন হাজার কেভির দুটি জেনারেটর, ৭৫০ জনের তিনটি পৃথক কনফারেন্স রুম, ফুডকোর্ট, বিশেষায়িত রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল ও হেলিপ্যাডসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এতে। 

এই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার পুরোদমে চালু হলে বিশ্ব বাণিজ্যের জগতে চট্টগ্রামে নামের সঙ্গে নতুন পালক যুক্ত হবে বলে আশাবাদ সকলের।

এএইচ