ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

‘কখন যে ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গেছি, বুঝতে পারিনি’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৭ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ১০:০৮ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২২ শুক্রবার

আহত জুনায়েদ কায়সার ইমন

আহত জুনায়েদ কায়সার ইমন

‘ট্রেনটি যখন ধাক্কা দেয়, তখন আমি মাইক্রোবাসের পেছনের দিকে ছিলাম। কখন যে ধাক্কা খেয়ে আমি গাড়ি থেকে পাশের বিলের মধ্যে পড়ে গেছি, তা বুঝতে পারিনি।’ 

মিরসরাইয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কথা এভাবেই বর্ননা করছিলেন বেঁচে যাওয়া যাত্রী জুনায়েদ কায়সার ইমন (২২)। তিনি হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডি ইউনিয়নের আবুল কাসেমের ছেলে। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

দুর্ঘটনার সময় রেল ক্রসিংটি অরক্ষিত ছিল জানিয়ে ইমন বলেন, ‘ট্রেন যখন আসে তখন গেটে বাঁশের প্রতিবন্ধক ছিল না। এমনকি কোনো গেটম্যানও ছিল না। এ কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

গাড়িতে মোট ১৮ জন ছিল উল্লেখ করে এই কলেজছাত্র বলেন, ‘আমি জিয়াউর রহমান কলেজে একাদশ শ্রেণির ছাত্র। আমান বাজার এলাকায় অবস্থিত আর অ্যান্ড কোচিং সেন্টারে ক্লাস করে সকাল ৭টায় বেড়াতে গিয়েছিলাম মিরসরাইয়ে। মাইক্রোচালক-হেলপারসহ ওই গাড়িতে আমরা মোট ১৬ জন ছিলাম।’

জুনায়েদ কায়সার ইমন আরও জানান, গাড়িচালক ও হেলপার ছাড়াও ওই মাইক্রোবাসে আজমির, মাহিন, হৃদয়, আয়াত, শওকত, মারুফ, হিসাম, আসিফ, শান্ত, হাসান, জিসান, রিদোয়ান, সজীব, রাকিব ও সাজাদ ছিলেন।

চিকিৎসাধীন এই কলেজছাত্র শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবে বেশি অসুস্থ জানিয়ে চমেক হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. নাজমুন নাহার বলেন, ‘জুনায়েদ কায়সার ইমন গুরুতর আহত নন। তিনি হাত ও পায়ে কিছুটা আঘাত পেয়েছেন। তবে তিনি মানসিকভাবে বেশি অসুস্থ।’

জানা গেছে, আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১৬ জন শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকাল ৮টায় হাটহাজারীর আমান বাজার থেকে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে খৈয়াছড়া ঝর্ণায় ঘুরতে যান। ঘোরাঘুরি শেষে ফেরার পথে দুপুর পৌনে ২টার দিকে বারতাকিয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেন। 

এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের প্রাণহানি ঘটে এবং আহত হন অপর পাঁচ জন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- কোচিং সেন্টারের চার শিক্ষক জিসান, সজীব, রাকিব ও রেদোয়ান এবং পাঁচ শিক্ষার্থী হিশাম, আয়াত, মারুফ, তাসফির ও হাসান। 

আহত ৬ জন হলেন- মাইক্রোবাসের হেলপার তৌকিদ ইবনে শাওন (২০), একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মাহিম (১৮), তানভীর হাসান হৃদয় (১৮), জুনায়েদ কায়সার ইমন (২২), এসএসসি পরীক্ষার্থী তছমির পাবেল (১৬) ও মো. সৈকত (১৮)।

এনএস//