ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

মৃত্যুর ৩০ বছর পর বিয়ে!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০২ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২২ শনিবার

বর-কনে দু’জনেই মৃত। মৃত ব্যক্তির আবার বিয়ে হয় নাকি!  শুনে ভাবতেই পারেন মজা বা খেয়ালি খবর এটি! কিন্তু না, মৃত্যুর ৩০ বছর পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন তারা।

জানা যায়, ভারতের কেরল ও কর্ণাটকের বেশ কিছু অঞ্চলে এই বিশেষ রীতির চল রয়েছে। এই রীতি অনুযায়ী এমন দু’জনের বিয়ে দেওয়া হয়, যারা জন্মের সময়ই মারা গিয়েছেন। একে বলা হয় ‘প্রেত কল্যাণম’। এই রীতির মাধ্যমে পরিবারের বাকি সদস্যরা মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করেন।

সম্প্রতি ইউটিউবার অ্যানি অরুণ এই অভিনব রীতির কথা জানিয়েছেন তার ব্লগে। তিনি পাত্র চাঁদাপ্পা ও পাত্রী শোভার বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। পাত্রপাত্রী দু’জনেই ৩০ বছর আগেই মারা গিয়েছেন।
 
আর এই খবর পড়লে অবশ্যই আপনার জানতে ইচ্ছে করবে নিশ্চয়ই, ঠিক কী হয়ছিল সেই বিয়েতে?

মৃত ব্যক্তিদের বিয়ে হলেও সেই বিয়েতে আচার-অনুষ্ঠানে কিন্তু কোনও রকম কমতি থাকে না। বিয়ের আগে পাত্রীর বাড়ি গিয়ে তাকে পছন্দ করা হয়। পাত্রী যদি বয়সে বড় হয়, সে ক্ষেত্রে সেই বাড়িতে আর বিয়ে দেওয়া হয় না। তারপর বাগদানের জন্য দুই পরিবার একে অপরের বাড়িতে যায়। বিয়ের আগে বর-কনেকে আশীর্বাদ করা হয় সেখানে। বিয়ের দিন পাত্র-পাত্রীকে বস্ত্রদান করা হয়। পাত্রীকে সাজার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়। ঠিক যেমন আসল বিয়েতে হয়।
 
মৃত ব্যক্তির বিয়ে হচ্ছে বলে পরিবেশ কিন্তু মোটেই দুঃখের থাকে না। পরিবারের লোকেরা বেশ সাজগোজ করেন। তবে অবিবাহিত এবং শিশুরা সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারে না। বিয়ে শেষ হওয়ার পর ভূরিভোজের আয়োজনও করা হয়।

সূত্রঃ আনন্দবাজার অনলাইন
আরএমএ/এমএম