ঢাকা, সোমবার   ১৮ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ৩ ১৪৩২

হুন্ডি ঠেকাতে জোড়ালো অভিযানের তাগিদ (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান

প্রকাশিত : ০৯:৪৪ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২২ বুধবার | আপডেট: ১০:১৪ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২২ বুধবার

হুন্ডির মাধ্যমে বিশাল অংকের অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রিজার্ভ। তাই হুন্ডি ঠেকাতে আরও জোড়ালো অভিযানের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করার পরামর্শও তাদের। 

ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী জ্বালানী, খাদ্যপণ্যসহ প্রায় সব কিছুতেই সংকট দেখা দেয়।

এর ফলে বিভিন্ন দেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়। হু হু করে ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মানও কমে। প্রতি ১ ডলারের দাম স্থানীয় বাজারে ১১২ টাকা পর্যন্ত উঠে আসে। 

সংকট মোকাবেলায় সরকার আমদানী খরচ কমানোসহ নানা কৌশল বেছে নেয়। মানি এক্সচেঞ্জসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নজরদারী বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এরপরও অজানা আতঙ্কে মার্কেটে ডলার বেচা-কেনা অনেকটা কমে আসে।

সংকট উত্তরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বার বার ডলার সরবরাহ করলেও এর ইতিবাচাক ফল বাজারে দেখা যাচ্ছেনা। রিজার্ভ বাড়াতে হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন বন্ধের তাগিদ দেন এই অর্থনীতিবিদ।

সিপিডি গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমেই মূলত টাকা বাইরে পাচার হয়। এর বাইরেও আমাদের দেশে হুন্ডির মাধ্যমে বড় একটা অংশ হচ্ছে। প্রতিটা ডলার হারালেও সরকারের জন্য ক্ষতি, আবার না পেলেও ক্ষতি। ডলারের রিজার্ভ ধরে রাখার উদ্যোগগুলোর যৌক্তিকতা আছে।”

চলমান সংকটে বিশেষ একটা গোষ্ঠী ডলার রেখে দিচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে আরও জোরালো নজরদারীর তাগিদ দেন তিনি।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার দিচ্ছে, সেই ডলারগুলো চলে যাচ্ছে কিন্তু বাজারে প্রভাব দেখছি না। হুন্ডি প্রসেসটাকে আইনগতভাবে ডিসকারেজ করার একটা প্রয়োজন রয়েছে বর্তমান প্রেক্ষাপটে। ”

ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করা গেলে শক্তিশালী রিজার্ভ গড়া সম্ভব বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

এএইচ