দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণের নাভিশ্বাস (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০১ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২২ শনিবার

নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। হিমশিম অবস্থায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। কয়েক দিনের ব্যবধানে দেশজুড়ে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আর এর জন্য জ্বালানি তেলের দাম বাড়াকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ এলাকার মফিজ উদ্দিনের স্ত্রী জাহেরা খাতুন। অসুস্থ স্বামী, প্রতিবন্ধী পুত্র আর এক কন্যাকে নিয়ে ৪ জনের সংসার। প্রতিদিন বাসাবাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে মজুরি পান ২০০ টাকা। নগরীর মেছুয়া বাজারে এসে চাল, পেয়াজ, আলু ও কাঁচামরিচ কেনার পর ২০০ টাকা শেষ। সবজিসহ অন্য কেনাকাটা না করেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে তাকে।
শুধু জাহেরা খাতুনই নন, একই অবস্থা নিম্ন আয়ের সব মানুষের। নিত্য পণ্যের দাম বেড়ে নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম অবস্থা সবার।
রাজশাহী নগরীর সপুরা এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন; বেসরকারি একটি কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ১২ হাজার টাকা বাড়িভাড়া আর সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় চালান চার জনের সংসার। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে পরিবারটি।
রংপুরে চালসহ বেড়েছে সব ধরনের পণ্যের দাম। তরিতরকারির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছ-মাংস ও ডিমের দাম।
সিলেটেও বেড়েছে সব ধরনের পণ্যের দাম। আর এজন্য জ্বালানি তেলের দাম বাড়াকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
খুলনায় কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতিটি জিনিসের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।
একই চিত্র বরিশালেও। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর থেকে ঊর্ধ্বমুখী পাইকারি ও খুচরা বাজার।
আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে নিত্যপণের বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি ভোক্তা-সাধারণের।
এনএস//