ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

একুশের পথ রুদ্ধ করে বিএনপি-জামায়াত সরকার (ভিডিও)

মানিক শিকদার

প্রকাশিত : ১১:৫৩ এএম, ২৯ আগস্ট ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০১:৪৩ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২২ সোমবার

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একুশে টেলিভিশন জন্মলগ্ন থেকেই গণমানুষের আস্থা অর্জন করলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্তের শিকার হয়েছে।  

২০০২ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালিন বিএনপি-জামাত সরকার একুশের চলার পথ রূদ্ধ করে। বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু খ্যাতিমান সাংবাদিক একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাাহী কর্মকর্তা সাইমন ড্রিংকে অপমান করে দেশ থেকেও বিতাড়িত করে ষড়যন্ত্রকারীরা। 

পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল বাঙালির চিরায়ত উৎসব বাংলা নববর্ষে যাত্রা শুরু করে একুশে টেলিভিশন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন প্রথম বেসরকারি টেরিস্টোরিয়াল ও নতুন প্রজন্মেরও এই টেলিভশন।

যাত্রার শুরুর পর থেকেই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান দিয়ে একুশে টেলিভিশন জয় করে কোটি বাঙালির হৃদয়। পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের জয়গান, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বলিষ্ঠ দাবি, ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল একুশে। 

এ বিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের বিশ্বাসে এবং সেই সংগ্রামে একুশটা তারই প্রতীক, সেই হিসেবে নামটা বছাই করা হয়। কারণ সেখানে ছিলেন সেই মানুষটি যার নাম সাইমন ড্রিং। সেখানে ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী এ এস মাহমুদ।”

২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি-জামাত জোট সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয় একুশে। 

চক্রটি সম্প্রচার বন্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি। একুশের প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালক, কর্মকর্তা সাংবাদিকদেরও নানাভাবে নাজেহাল করা হয়।  

আবেদ খান আরও বলেন, “শফিক রেহমান এবং গিয়াস কামাল চৌধুরী গং তারা যায়যায় দিনটাকে ব্যবহার করে একুশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করলো। তার আগে একুশে টেলিভিশন থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হল, সাইমন ড্রিংকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করলো।”

তিনি বলেন, “যারা ঘাতক, তারা সবার আগে আক্রমন করে সত্য কে।”

জন্মলগ্ন থেকেই একুশে টেলিভিশন গণমানুষের কন্ঠস্বরে পরিণত হয়েছিলো বলেই মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে বিএনপি-জামাত জোট। একুশের কন্ঠরোধের প্রতিবাদে সারাদেশে অসংখ্য মানুষ রাস্তায় নামে।  

দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ২০০৫ সম্প্রচারের বৈধতা দেন আদালত। কিন্তু সম্প্রচার নিয়েও চলে নানা টালবাহানা। ২০০৭ সালে আবারো আলোর পথে একুশের নবযাত্রা।

ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করেই পথ চলছে একুশে টেলিভিশন। একুশে মানে মাথা নত না করা। 
এসএ/