বাংলাদেশ প্রশ্নে ‘ধীরে চলো’ নীতি নয়, নয়াদিল্লির বার্তা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩২ এএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার | আপডেট: ১২:৩৪ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার

ভূকৌশল এবং ভূ-অর্থনীতিতে প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশই যে ভারতের কাছে ঘনিষ্ঠতম রাষ্ট্র, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরের ঠিক আগে এমন বার্তা দিয়েছে দেশটি।
দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত কিছু বিষয় থাকলেও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ যে ভারতের সব চেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার, এ কথা মনে করিয়ে নয়াদিল্লি বলছে, ভারতের মোট উন্নয়নের সহযোগিতার ২৫ শতাংশ শুধু বাংলাদেশের জন্যই বরাদ্দ হয়েছে।
শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ প্রশ্নে কোনও ‘ধীরে চলো’ নীতিতে বিশ্বাসী নয় নয়াদিল্লি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণারয়ের এক কর্মকর্তা আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেন, “গত এক বছরে আমরা আমাদের লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) সবচেয়ে বেশি ছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। কোনও দেশের নাম না করেই বলতে চাই, এত দ্রুত কম সুদে (বছরে ১ শতাংশ) ঋণ কেউ বাংলাদেশকে দেয়নি।”
বলা হচ্ছে, ভারত তার ঋণের এক বিলিয়ন ডলার ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে নেপাল এবং ভুটানে পণ্য রফতানিতে ভারতের বিনামূল্যে ট্রানজিট সুবিধা দেওয়া দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার একটি বড় ধাপ বলে মনে করে সাউথ ব্লক। পাশাপাশি এ কথাও বলা হচ্ছে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ভারত ব্যবহার করতে পারায় এক দিকে যেন ভারতের উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বাড়বে, উপকৃত হবে ঢাকাও। তাদের উৎপাদন এবং রফতানি ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলে লক্ষ্যণীয় রকম বাড়বে বলে আশা করে ভারত। তা ছাড়া যে ট্রানজিট ফি বাংলাদেশ পাবে, তার পরিমাণও খুবই ভাল।
ভারতের হিসাব, ২০১০ সালে বাংলাদশের উন্নয়নে ভারতের সহায়তার মোট পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি ডলার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় হাজার ডলারের কাছাকাছি। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে সম্পর্কের গতি গত এক দশকে কত দ্রুত বেড়েছে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
এএইচএস