ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

চীনে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬৬

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:১৫ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ১টার দিকে প্রাদেশিক রাজধানী চেংডু ও আশপাশের এলাকায় ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্প হয়। 

কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত ২৪৮ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১১ জন। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। খবর রয়টার্স ও সিনহুয়া’র।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবারও (৬ সেপ্টেম্বর) কয়েকদফা আফটার শক (ভূ-কম্পন) হয়েছে। এ ভূমিকম্পের প্রভাবে কোথাও কোথাও ভূমিধসও হয়েছে। উদ্ধারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকে হতাহতদের বের করে আনা হচ্ছে।

চীনা আর্থকোয়াক নেটওয়ার্ক সেণ্টার বলেছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল চেংডু থেকে ২২৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের পাহাড়ি লুডিং শহরে। এতে প্রাদেশিক রাজধানী চেংডু ও পাশের প্রদেশগুলোতে কম্পন অনুভূত হয়। লুডিং শহরের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, লুডিং শহরে ভূমিকম্প এতটাই প্রবল ছিল যে, মানুষের দাঁড়িয়ে থাকাটাও কঠিন ছিল। চেংডুর বাসিন্দা লরা লুও বলেন, ‘বহু লোকজন আতঙ্কে কান্নাকাটি শুরু করে। কুকুরগুলোও ভয়ে অনবরত ঘেউ ঘেউ করছিল। পরিস্থিতি সত্যিই খুব ভীতিকর ছিল।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছে বেশকিছু সড়ক ও বাড়িঘর ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।

তবে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যদিও প্রাদেশিক সঞ্চালন লাইনের ক্ষতি হওয়ায় ৪০ হাজার বাসিন্দার বাড়িঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে।

সিচুয়ান প্রদেশে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। বিশেষ করে পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ। তবে ২০১৭ সালের পর সেখানকার সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এটিই। ওই সময় আবা এলাকায় আঘাত হেনেছিল ৭ মাত্রার ভূমিকম্প।

এনএস//