ঢাকা, সোমবার   ১৩ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

চার ঘন্টায়ও আসেনি ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্সে সন্তান প্রসব

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৫০ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় পাঁচ মিনিটের কথা বলে চার ঘন্টায়ও ডাক্তার না আসায় অন্য হাসপাতালে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে সন্তান প্রসব করেছেন এক প্রসূতি। 

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই নারীর চাচা মো. ফারুক বাদী হয়ে অভিযুক্ত কবিরহাট প্রাইভেট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও পরিচালকের বিরুদ্ধে মেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, সুমি আক্তার (২৫) কবিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জৈনতপুর গ্রামের দাউদুল ইসলামের স্ত্রী। গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রসূতি সুমিকে কবিরহাট প্রাইভেট হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য নেওয়া হয়। ডাক্তার জানায় তার নরমাল ডেলিভারি হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই। তাকে দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশন করতে হবে। না হয় বাচ্চা ও মায়ের জন্য ঝুঁকি আছে।

এমন কথা শুনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রসূতি নারীর চাচা কবিরহাট প্রাইভেট হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও পরিচালকের সাথে সিজারিয়ান অপারেশনের ব্যাপারে আলোচনা করলে তারা বলে তাদের সার্বক্ষণিক ডাক্তার থাকেন এবং আরও জানান রাত ৯টায় সিজারিয়ান অপারেশ হবে। আপনারা দুই ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা করেন।

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, তাদের কথামতো রক্তের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ৫ মিনিটের মধ্যে ডাক্তার আসছে বললেও রাত ৯টা পেরিয়ে গেলেও ডাক্তার আসেনি। অন্যদিকে প্রসূতি নারী ডেলিভারীর যন্ত্রনায় চিৎকার করতে থাকেন। এমন অবস্থায় ডাক্তারের জন্য ৫ মিনিট ১০ মিনিট দেখতে দেখতে রাত ১টা ১০ মিনিট হয়ে যায়। কিন্তু কোন ডাক্তার আসেনি।

তখন প্রসূতির কষ্ট দেখে জোরপূর্বক জেলা শহর মাইজদী নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর নরমাল ডেলিভারী হয়। পরে নবজাতককে অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে মাইজদীর মুন হাসপাতালের এনআইসিউতে ভর্তি করা হয়।  

কবিরহাট প্রাইভেট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে জানান, ওই প্রসূতিকে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাত সাড়ে ১০টার দিকে। রোগীর স্বজনরা ডাক্তারকে গালমন্দ করায় ডাক্তার আসেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান বলেন, “ভুক্তভোগী প্রসূতি নারীর চাচা ফারুক বিষয়টি অবহিত করলে তাকে বলা হয়ে পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ করতে। অভিযোগের কপি হাতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরএমএ/এএইচ