ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ জুলাই ২০২৫,   আষাঢ় ১৭ ১৪৩২

ঝালকাঠিতে নদীর পানিবৃদ্ধিতে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৬:২২ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

জেলার সুগন্ধা ও বিষখালীসহ জেলার সকল নদীর পানি ২-৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলার ৩০ টি গ্রাম ও শতাধিক আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর প্লাবিত হয়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বেশকিছু দোকান।

ভেঙ্গে গেছে কাঠালিয়া গ্রামের বিষখালী নদীর তীরবর্তী রাস্তা ও চিংড়াখালী খালের বাঁধ। গ্রামীন কাঁচা পাকা ১০টি রাস্তা দেবে গর্ত হয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এ সকল গ্রামের। ফলে হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিষখালি নদীর রাজাপুর অংশে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন।

উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের মঠবাড়ি এলাকায় অবস্থিত লঞ্চে উঠার একমাত্র পল্টনটি সহ পাশে থাকা ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ঘটনার পর থেকে বাদুরতলা এলাকায় নদীতীরের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। জেলা জুড়ে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সুগদ্ধা ও বিষখালী নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কক্ষে পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে কমপক্ষে ৩০ টি গ্রাম। জোয়ারের পানিতে ঝালকাঠির আউড়া, শৌলজালিয়া ও আওরাবুনিয়া আশ্রায়ন প্রকল্পের শতাধিক ঘর পানিতে ভাসছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে এ সব ঘর।

কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদের সবগুলো অফিস ভবন, নির্বাহী অফিসারের বাস ভবন, কাঠালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, কাঠালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিকল্যাণ কেন্দ্র, ছৈলার চর পর্যটন কেন্দ্র, কাঠালিয়া লঞ্চ ঘাট, সিকদার পাড়া, পশ্চিম আউরা জেলে পাড়া, আমুয়া হাসপাতাল ও আমুয়া বন্দরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। 

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হাসান জানান, বিষখালী ও সুগন্ধাসহ জেলার সকল নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে। এ অঞ্চলের সব কয়টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এসি