ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

আফগানিস্তানে ৪০ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি তালেবানের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৯ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:০০ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার

এক বছর পরে ফের লড়াই শুরু হল পঞ্জশিরে। বুধবার থেকে উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের ওই অঞ্চলে ‘ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (প্রচলিত নাম নর্দার্ন অ্যালায়্যান্স)–এর যোদ্ধাদের সঙ্গে তালেবান বাহিনীর নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে। 

তালেবানের দাবি, ইতিমধ্যেই অন্তত নর্দার্ন অ্যালায়্যান্স ৪০ জন যোদ্ধা সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। রেকা, ডেরা এবং আফসর এলাকায় অভিযানে নর্দার্ন অ্যালায়্যান্স যোদ্ধাদের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

গত বছরের অগস্টে তালেবানের কাবুল দখলের পরেও বেশ কয়েক মাস প্রতিরোধ চালিয়েছিলেন নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের নেতা আহমেদ মাসুদ। তার সহযোগী ছিলেন আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ্‌। যদিও শেষ পর্যন্ত পাহাড়ে ঘেরা পঞ্জশির উপত্যকা কব্জা করেছিল তালেবান।

সে সময় নর্দার্ন অ্যালায়্যান্স অভিযোগ তোলে, সেখানে তালেবানের হয়ে লড়াইটা লড়েছে পাক সেনার ‘নর্দার্ন লাইট ইনফ্যান্ট্রি’ (এনএলআই) এবং এলিট ‘স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ’ (এসএসজি) কমান্ডোরা। তাদের সাহায্য পাওয়ার ফলেই পাহাড়ের যুদ্ধে অপটু তালেবানের পক্ষে ‘দুর্গম’ পঞ্জশিরে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে। অতীতে কার্গিলের যুদ্ধে লড়েছিল পাকিস্তান সেনার এই দুই বাহিনী।

মাসুদের বাবা আহমেদ শাহ মাসুদ প্রায় আড়াই দশক আগে তালেবান বিরোধী নর্দার্ন অ্যালায়্যান্স-এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সে সময় পঞ্জশিরের দখল নিতে পারেনি তালেবান। ২০০১-এ টুইন টাওয়ার হামলার দু’দিন আগে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে আল কায়দার মানববোমা হামলায় তিনি নিহত হন। পঞ্জশির উপত্যকায় এখনও মাসুদ অনুগত কয়েক হাজার তাজিক মিলিশিয়া যোদ্ধা রয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর। 

এ ছাড়া কিছু দলছুট আফগান সেনা রয়েছেন নর্দার্ন অ্যালায়্যান্স বাহিনীতে। তালেবানের দাবি, মাসুদ এখন সীমান্তের ওপারে তাজিকিস্তানের আশ্রয় নিয়েছেন।

এসি