ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

প্রেমিকার ফাঁকা বাড়িতে প্রেমিক, অতঃপর ...

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৪৯ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:৪৭ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

আটক প্রেমিক হাসান আলী (সাদা শার্ট) ও তার বন্ধু মাসুদ

আটক প্রেমিক হাসান আলী (সাদা শার্ট) ও তার বন্ধু মাসুদ

যশোরের শার্শার নিজামপুরে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী (১৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। রাতে প্রেমিকার ফাঁকা বাড়িতে আসেন প্রেমিক। এরপর অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার বিষয়টি গ্রামের কয়েকজন যুবক দেখে ফেললে তাদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই কিশোরী। এ ঘটনায় প্রেমিকসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশে।

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের কন্দপপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে পুলিশ প্রহরায় পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বড় নিজামপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী শাহাজাহান মল্লিকের ছেলে হাসান আলী (২০) ও একই গ্রামের রিজাউল করিমের ছেলে মাসুদ (২০)। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত একই ইউনিয়ের কন্দপপুর গ্রামের মিজান চৌকিদারে ছেলে নুরুজ্জামান (২৭), ফটিকের ছেলে সাকিব (২৮), জাহানের ছেলে নাসিম হোসেন (২৮) পলাতক রয়েছে। 

স্কুল ছাত্রীর স্বজনেরা জানান, ওই স্কুলছাত্রীর মা অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বুধবার রাত ১১টার দিকে হাসান আলী তার বন্ধু মাসুদকে সাথে নিয়ে ওই বাড়িতে এসে ছাত্রীর ঘরে ঢুকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়।

বিষয়টি ওই এলাকার তিন যুবক নুরুজ্জামান, সাকিব ও নাসিমের নজরে আসে। দুজনকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত দেখে দুই বন্ধু ও ভিকটিম কিশোরীকে আটক করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে তারা। একপর্যায়ে হাসানকে তারা মারধর করে আটকে রেখে নুরুজ্জামান, সাকিব ও নাসিম ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে পরিবারকে জানায় ভিকটিম। 

পরে স্থানীয় লোকজন  হাসান আলীসহ বন্ধু মাসুদকে আটক করেন। পরবর্তীতে গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পে সংবাদ দিলে ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এঘটনার পর এলাকা থেকে নুরুজ্জামান, সাকিব ও নাসিম পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেন ভিকটিকের পিতা-ভাই। এসএসসি পরীক্ষার্থীর সাথে এমন আচারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রতিবেশীরাও।

এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল বলেন, “বিষয়টি আমি জানি না। তবে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে এটা সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। এর বেশি কিছু বলতে পারবোনা।”

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তবে এখনও থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি। মেয়েটি যেহেতু এসএসসি পরীক্ষার্থী সে কারণে তাকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

পরীক্ষার পর জবানবন্দীর জন্য তাকে যশোর আদালতে ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক ৩ জনকে গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।

আরএমএ/এএইচ