ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

‘সীমান্ত ছাড়তে চাই না, চাই জীবনের নিরাপত্তা’ (ভিডিও)

মাসুমা লিসা

প্রকাশিত : ০১:৩৫ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ০১:৩৬ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার

মিয়ানমারের অভ্যান্তরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কাঁপছে নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্ত। প্রতিদিন বিস্ফোরেণের বিকট শব্দে ভয় ও আতংকে রয়েছে সীমান্তে বসবাসরত মানুষ ও শুন্যরেখায় বসবাসরত রোহিঙ্গারা। প্রতিনিয়ত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন পার করছেন এসব মানুষেরা। একারণে সীমান্তের কিছু এলাকা থেকে মানুষ সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন। কিন্তু কিছুতেই সীমান্ত ছাড়তে রাজি নয় স্থানীয়রা। তাই, সীমান্তবাসিরা বলছেন, সীমান্ত ছাড়তে চাই না, চাই জীবনের নিরাপত্তা। 

মিয়ানমারের রাখাইনে আরকান আর্মি ও সেদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে প্রতিদিন গোলাগুলি চলছে। আকাশে চক্রর দিচ্ছে হেলিপ্টার ও জেট বিমান। উপর থেকে মাটিতে ফেলা হচ্ছে মর্টারশেল ও নানা রকম গোলাবারূদ। এসব গোলাবারূদ ইতিমধ্যে কয়েকটি সীমান্ত অতিক্রম করে পড়ছে বাংলাদেশের মাটিতে। এঘটনায় ১জন রোহিঙ্গা নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। 

গত দেড়মাস ধরে চলমান এ পরিস্থিতিতে প্রশাসন স্থানীয় কিছু পরিবারকে অন্যত্রে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু, সীমান্তবাসীরা কিছুতেই তাদের এলাকা ছাড়তে রাজি নয়। তবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কথা বলছেন তারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "এখানে আমাদের বসবাস, আমরা অন্য কোথাও গিয়ে আমরা কী করবো, সেখানে তো আমাদের কাজ নাই।"

আরেকজন বলেন, "আমরা কোনোদিক যেতে চাইনা, আমরা চাই নিরাপত্তা।" 

সীমান্তে তারকাটার পাশ দিয়ে মাইন বসানো আছে বলেও জানান স্থানীয়রা। 

উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সতর্কবস্থায় থাকার কথা উল্লেখ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন, যেহেতু সীমান্ত এলাকায় বসবাস, তাই কিছুটা সমস্যা হবে। এজন্য বিচলিত হওয়ার কারণ নেই। সীমান্ত এলাকার মানুষেরা অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে যাবে। সরকারের কর্মপরিকল্পনার ওপর আস্থা রয়েছে বলেও জানান তারা।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, "বিজিবির টহল চলছে, পাশাপাশি আমরা এলাকার মানুষরাও সচেতন আছি।" 

আর প্রশাসন জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সেখানে বসবাসরত মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে করণীয় কি করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরিজী বলেন, "সীমান্ত এলাকার মানুষ কী অবস্থায় আছে, তাদের নিরাপত্তায় কী কী পদক্ষেপ প্রয়োজন সেটাই দেখছি।" 

গেলো দেড়মাস ধরে মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে গোলাগুলির ঘটনায় আতংকিত না হয়ে ধৈর্য্য ও সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলার করার সংকল্প ব্যক্ত করেন সীমান্তবাসিরা।
 

এসবি/