টাকার লোভে বৃদ্ধ দম্পত্তিকে হত্যা, আটক ৪
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:১৫ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর এলাকায় বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর তাদের কাছ থেকে হত্যা কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, আলমডাঙ্গা পৌর শহরের পুরাতন বাজারের নিজ বসত ঘর থেকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় ষাটোর্ধ্ব নজির উদ্দিন ও ফরিদা খাতুন দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নজির উদ্দিনকে শৌচাগারের ভেতরে হাত-মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে শোবার ঘরের মেঝেতে ফেলে গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু নিশ্চিত করে বাড়ির বাইরে থেকে দরজায় তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনার পর ওই দম্পত্তির মেয়ে ডালিয়া পারভীন শিলা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩০২/৩৪। মামলা রুজুর পর প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত আসামিদের আটক করে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, রক্তমাখা জামা কাপড়, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ধরনের আলামত উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামিরা হলেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর মাঝেরপাড়ার বজলুল রহমানের ছেলে শাহাবুল হক (২৪), একই এলাকার শেষ পাড়ায় পিন্টু রহমানের ছেলে রাজীব হোসেন (২৫), মাঝের পাড়ার মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৩) ও স্কুল পাড়ার তাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেন (২১)।
জানা যায়, আসামি শাহাবুল আগে নজির উদ্দিনের ট্রলি চালক ছিল। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সে ঘটনার দিন নজির উদ্দিনের নিকট বালু কেনার প্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে একই দিন রাত আনুমানিক ৮টার সময় আসামিরা পরস্পর যোগসাজস করে তার বাড়ির সামনে এসে তাকে ডাকতে থাকেন।
নজির উদ্দিন তার বাড়ির প্রধান ফটক খুলে দিলে তারা সেখানে প্রবেশ করেন। এরপর তারা নগদ টাকা পাওয়ার আশায় তাদের অস্ত্রের ভয় দেখায়। তাতে কাজ না হলে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই দম্পত্তিকে হত্যার বাড়ির বাইরে থেকে তালা মেরে চলে যায় তারা।
আজই আসামিগণকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে পুলিশ সুপার জানান।
এএইচ