ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

খুনের ৫ বছর পর বাঁশঝাড়ের নীচ থেকে কঙ্কাল উদ্ধার

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:৪৫ পিএম, ৬ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার

ঝালকাঠির রাজাপুরে গুম ও খুনের ৫ বছর পর বাস কাউন্টার ব্যবসায়ী মোঃ খায়রুল মীরের (৩২) কঙ্কাল ও পরনের জিন্সপ্যান্ট উদ্ধার করেছে সিআইডি পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় ক্লুলেস এ হত্যা রহস্য উদঘাটনের বিস্তারিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তুলে ধরেন ঝালকাঠি সিআইডি কার্যালয়ে এএসপি মোঃ এহসানুল হক।

এর আগে বুধবার বিকাল ৩টায় উপজেলার পূর্ব কানুদাসকাঠি গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ের নীচ থেকে খায়রুলের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।

পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে মাদক ব্যবসায়ীসহ চারজনে মিলে নৃশংসভাবে খায়রুলকে হত্যা করে লাশ মাটিচাপা দেয় বলে জানায় সিআইডি। 

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাজাপুর উপজেলা সদরের বাইপাশ মোড়ের বাসা থেকে মীর আনসার আলীর পুত্র মোঃ খায়রুল মীরকে ফোরকান নামে এক মাদককারবারী মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে গুম করেন। সেখানে ফোরকান, সোহাগ, মনির ও গিয়াস মিলে তাকে হত্যা করে। পরে মনিরের বাড়ির পাশে লাশ মাটি চাপা দেয় তারা।

ঘটনার এক মাস পর ওই চারজন মিলে লাশ তুলে পাশের গ্রাম পূর্ব কানুদাসকাঠির মসজিদ সংলগ্ন বাঁশঝাড়ের নীচে পুঁতে রাখে।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বাদী সৈয়দ জেহাদুল ইসলাম, রিয়াদ, কাজল, পলি বেগম, রুস্তমসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসাসি করে রাজাপুর থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় ফোরকান নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে কোনো ক্লু উদ্ধার করতে না পারায় আদালত থেকে জামিন পান তিনি।

সেই বছর ২৬ ডিসেম্বরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মামলাটি তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সিআইডি পুলিশের উপর দায়িত্ব অর্পন করেন। সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেনকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। 

গত ৩ অক্টোবর রাতে কানুদাশকাঠি গ্রাম থেকে সিআইডি মামলার স্বাক্ষী মিরাজুল ইসলাম মিজুকে আটক করে ঝালকাঠি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকারীদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন তিনি।

সেই তথ্য মতে ৪ ও ৫ অক্টোবর দুদিন ধরে কানুদাশকাঠি গ্রামের মসজিদের পেছনের একটি গোরস্থানে ব্যাপক খোরাখুরির পর বাঁশঝাড়ের গোড়া থেকে জিন্সপ্যান্ট, হাত-পা বাধা দড়িসহ কঙ্কাল উদ্ধার করে সিআইডি টিম। তারা প্রাথমিকভাবে কঙ্কালটি খাইরুলের বলে নিশ্চিত হন।

মামলার বাদী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, কঙ্কালের সাথে পাওয়া পেন্ট দেখে মোটামুটি নিশ্চিত যে এটা আমার ভাই খাইরুল মীরের। আসামিদের দ্রুত বিচার চান তিনি।

এএইচ