মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশের বাজারে ক্রেতার ভিড়
কুয়াকাটা ও কলাপাড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ১২:৪৩ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২২ শুক্রবার
গত মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রয়ের উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তাই বিক্রির শেষ সময়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা-কলাপাড়ার প্রতিটি ইলিশের বাজারে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভিড় করেছে ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বাজারে ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসলেও দামে ছাড়েনি। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে ছিল অনেকটা।
প্রতি ২ কেজি ওজনের ইলিশ ২৪’শ টাকা কেজি দরে, দেড় কেজি ওজনের ১৭’শ টাকা কেজি দরে, ১ কেজি ওজনের ১২’শ টাকা কেজি দরে, ৮’শ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার টাকা ও জাটকা ইলিশ বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৪’শ টাকা কেজি দরে। দাম বেশি হওয়ায় হতাশা নিয়ে খালি হাতেও ফিরতে দেখা গেছে অনেককে। তবে ইলিশের আহরণ এবার কম থাকায় দাম বেশি ছিল বলে দাবি বিক্রেতাদের।
এদিকে চলতি বছর ১ হাজার ৩৫২ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। তবে ইলিশ রপ্তানি আর বাড়ানো ঠিক হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ বাস্তবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলিশ রপ্তানি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার অভিমত দেশের সব মানুষ ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করুক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বেশ কিছু দেশে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রপ্তানি হয় ভারতে, সেখান থেকে বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছে। হাইকোর্ট যদি কোনো আদেশ দেয় তাহলে অবশ্যই সেটি মেনে চলতে হবে। বাণিজ্যিকভাবে ইলিশের রপ্তানি এভাবে হয়নি, এবার যে পরিমাণ রপ্তানি হয়েছে। এবার অধিকাংশ রপ্তানি ভারতে হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্যান্য কয়েকটি দেশেও ইলিশ গেছে। সেগুলো উপহার কিংবা ব্যক্তিগতভাবে গেছে। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। আগে ইলিশ পাওয়াই যেত না এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এখন ইলিশ অনেক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে, আমার মনে হয় ৬৪টি জেলার সর্বত্র ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।
এসএ/