ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

ধানমণ্ডিতে ধর্ষণ: নারীকণ্ঠে ফোনে ডাকা হয়েছিল বিউটিশিয়ানকে 

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৭:২২ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:২৩ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২২ বৃহস্পতিবার

রাজধানীর ধানমণ্ডির বাসায় যে বিউটিশিয়ান দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তাকে নারীকণ্ঠে ফোন করে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। 

ধর্ষণের ওই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এমনটা জানিয়েছে পুলিশ। 

বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ মো. রিয়াদ (২৪) ও ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম (২৩) নামের দুই তরুণকে গ্রেফতার করে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর শ্যামলীতে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার এইচএম আজিমুল হক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই নারী সাভারে থাকতেন। একটি অনলাইন পেজের মাধ্যমে তিনি বাসায় গিয়ে নারীদের ফেসিয়াল করিয়ে দিতেন। পেজে দেওয়া নম্বরে গত ১১ অক্টোবর এক মেয়েকণ্ঠের মাধ্যমে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সেই নারীকে ফোন দেওয়া হয়। জানানো হয় শুক্রাবাদ এলাকায় ফেসিয়াল সেবা দিতে হবে। পরে সাভার থেকে বিউটিশিয়ান ওই নারী শুক্রাবাদের উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় ছেলেকণ্ঠে একজন (রিয়াদ) তার অবস্থান সম্পর্কে ফোনে বারবার জানতে চাচ্ছিল। সন্ধ্যার পর ওই নারীকে রিয়াদ শুক্রবাদ থেকে রিসিভ করে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। এ সময় ওই বাসায় রিয়াদ, তার বন্ধু সিয়াম ও জিতু ছাড়া কেউ ছিল না। তারা তিন জন মিলে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর সেই নারীকে রাস্তায় একটি সিএনজিতে তুলে দেয় তারা।

উপ-কমিশনার আজিমুল আরও বলেন, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তিনজনই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী নারীর সাথে তাদের পূর্ব পরিচয় ছিল না। তারা বখে যাওয়া। নিজেদের ফ্যান্টাসির কারণেই ধর্ষণের এ ঘটনা তারা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী নারী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রথমে ধানমণ্ডি থানায় যান। কিন্তু ঘটনাস্থল ধানমণ্ডি থানা এলাকায় না হওয়ায় পরবর্তীতে শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শেরেবাংলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ধর্ষণের সাথে জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেকজন পলাতক রয়েছে। গ্রেফতার রিয়াদ ও সিয়াম সরাসরি ধর্ষণের সাথে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এই ধর্ষণের সাথে তাদের আরেক বন্ধু জিতু সরাসরি জড়িত বলেও জানায় তারা।

এএইচএস