ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ১৩ ১৪৩২

জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২১ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার

দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে সোমবার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা ৯টি জেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। একটি জেলায় নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী। এছাড়া ২৩ জেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হয়েছে। এর আগে ২৫টি জেলা পরিষদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ কোনও প্রার্থীকে সমর্থন না দেওয়া চাঁদপুর জেলা পরিষদে নির্বাচিত হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী। 

এর মধ্যে কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, গোপালগঞ্জ, জামালপুর, ঝালকাঠী, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, ঢাকা,  নওগাঁ,  নারায়ণগঞ্জ, পাবনা, পিরোজপুর, ফেনী, বরগুনা, বরিশাল, বাগেরহাট, ভোলা, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নির্বাচিত হয়েছেন। 

সোমবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে দুপুর ২টায় শেষ হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১ জেলায় এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে হাইকোর্টের আদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালীর নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। 

বেসরকারি ফলাফলে যারা বিজয়ী হয়েছেন-

আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে সাতক্ষীরায় মো. নজরুল ইসলাম, খুলনায় শেখ হারুনুর রশীদ, নেত্রকোনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত কুমার সরকার, রাজবাড়ীতে এ কে এম শফিকুল মোর্শেদ, মানিকগঞ্জে গোলাম মহিউদ্দিন, যশোরে সাইফুজ্জামান পিকুল, হবিগঞ্জে ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গায় মাহফুজুর রহমান মনজু, গাজীপুরে মোতাহার হোসেন মোল্লা, গাইবান্ধায় আবু বকর সিদ্দিক, মাগুরায় পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু, নাটোরে সাজেদুর রহমান খান, নীলফামারীতে অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক।

জয়পুরহাটে অধ্যক্ষ খাজা সামছুল আলম, নড়াইলে অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, মেহেরপুরে অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল মামুন সরকার, ময়মনসিংহে অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, রাজশাহীতে বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, কিশোরগঞ্জে অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, চট্টগ্রামে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, কুষ্টিয়ায় সদর উদ্দিন খান এবং বগুড়ায় ডা.মকবুল হোসেন বিজয়ী হয়েছেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের মধ্যে ফরিদপুরে মো. শাহাদাৎ হোসেন, নরসিংদীতে মো. মনির হোসেন ভূইয়া, শেরপুরে মো. হুমায়ুন কবীর, কক্সবাজারে শাহীনুল হক মার্শাল, পঞ্চগড়ে আব্দুল হান্নান শেখ, ঝিনাইদহে হরুন অর রশিদ, রংপুরে মোসাদ্দেক হোসেন, পটুয়াখালী হাফিজুর রহমান, সুনামগঞ্জে নুরুল হুদা মুকুট জয়ী হয়েছে। 

এদিকে চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কাউকে সমর্থন দেয়নি। এই জেলা পরিষদে দুইজন প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী ঘরানার। তাদের মধ্যে ওচমান গণি পাটওয়ারী বিজয়ী হয়েছেন।

দিনাজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া যে ২৫ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- ফেনীতে আবুল বশর মজুমদার, ভোলা আব্দুল মমিন টুলু, কুমিল্লায় মফিজুর রহমান বাবলু,  কুড়িগ্রামে জাফর আলী, গোপালগঞ্জে মুন্সি আতিয়ার রহমান, জামালপুরে মোহম্মদ বাকী বিল্লাহ,  ঝালকাঠিতে খান সাইফুল্লাহ পনির, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান ফারুক।

ঠাকুরগাঁওয়ে মু সাদেক কুরাইশী, ঢাকায় মাহবুবুর রহমান, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, নারায়ণগঞ্জে চন্দ্র শীল, পাবনায় আ স ম আব্দুর রহিম পাকন, পিরোজপুরে সালমা রহমান, বরগুনায় মো. জাহাঙ্গীর কবির, বরিশালে এ কে এম জাহাঙ্গীর,  বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, মাদারীপুরে মুনীর চৌধুরী, মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, মৌলভীবাজারে মিছবাহুর রহমান, লক্ষ্মীপুরে মো. শাহজাহান।

লালমনিরহাটে মো. মতিয়ার রহমান, শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও সিলেটে নাসির উদ্দিন খান।করছেন। ৫৭টি জেলায় মোট ভোটার ৬০ হাজার ৮৬৬ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৬২টি এবং ভোটকক্ষ ৯২৫টি। 

এএইচ