ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ আগস্ট ২০২৫,   ভাদ্র ১৩ ১৪৩২

ইউক্রেনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৭:৩১ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২২ মঙ্গলবার

ইউক্রেন জুড়ে বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে আজ, মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মত আরো একদফা হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন ইউক্রেনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এসব আক্রমণের ফলে ধ্বংস হয়ে গেছে, এবং সারা দেশ জুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে।

তিনি বলেন, ক্রেমলিনের সাথে এখন আর কোন আলোচনার সুযোগ নেই।

রাজধানী কিয়েভ এবং অন্য আরো কয়েকটি শহরে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। কিয়েভের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে রুশ হামলায় কমপক্ষে দু ব্যক্তি নিহত হয়েছে। দনিপ্রো, খারকিভ এবং জিতোমিয়ার শহরগুলোও আক্রান্ত হয়েছে।

এসব আক্রমণের ২৪ ঘন্টা আগেই কিয়েভ ও অন্যান্য শহরে কামিকাজি ড্রোন হামলা হয়। বিস্ফোরক-ভর্তি ড্রোন - যা ইরানে তৈরি বলে মনে করা হয় - জরুরি অবকাঠামোগুলোতে আঘাত হানে এবং এতে অন্তত পাঁচ জন নিহত হয়।

তবে মঙ্গলবারের আক্রমণগুলোতে ড্রোন কতটা ব্যবহার হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়নি।

গতরাত থেকে রুশ বোমারু বিমানগুলো ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

দক্ষিণাঞ্চলীয় মিকোলায়েভ শহরে একটি আবাসিক ভবনে একটি এস-৩০০ বিমানবিধ্বংসী মিসাইল আঘাত হানলে একজন নিহত হয়, শহরের ফুলের বাজারটিও ধ্বংস হয়।

'এরকম হামলা আরো হবে'

ইউক্রেনের এমপি লেসিয়া ভাসিলেংকো বিবিসিকে বলেন, "আমরা মনে করছি যে রাশিয়া আমাদের জ্বালানি ও বেসামরিক অবকাঠামোগুলোর ওপর আক্রমণ জোরদার করবে।"

যুক্তরাজ্যের সবশেষ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মূল্যায়নে বলা হয়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুদ্ধক্ষেত্রে কয়েকটি পরাজয়ের পর রুশরা এখন সামরিক লক্ষ্যবস্তুর পাশাপাশি বেসামরিক অবকাঠামোতেও আঘাত হানতে আরো বেশি ইচ্ছুক হয়ে উঠেছে।

রাশিয়ার এসব ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার কারণে ইউক্রেন এখন তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র চাইছে।

বহু জায়গায় বিদ্যুৎ ও পানি নেই

মঙ্গলবারের আক্রমণগুলোর পর দনিপ্রো নদীর কাছে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। এর ফলে ত্রোয়েশিনা নামে একটি এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। দনিপ্রো শহরেও একই অবস্থা হয়েছে। সেখানকার কর্মকর্তারা বলছেন, তারা শহরের রাস্তার আলো নিভিয়ে দিচ্ছেন।

কিয়েভের পশ্চিমে জিতোমিয়ারেও বিদ্যুত ও পানি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হাসপাতালগুলো বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে কাজ করছে।

এর ছাড়া খারকিভ ও জাপোরিশাতেও আক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।

ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো মেরামতের চেষ্টা করছে, তবে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে কিনা এ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে - বিশেষ করে এমন এক সময় যখন শীত মৌসুম আসন্ন ।

কিছু কিছু শহরে ইউক্রেনীয়রা জেনারেটর এবং গ্যাসের চুলা ব্যবহার করছে। লোকজনকে জ্বালানির ব্যবহার কমাতে আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিছু কিছু শহরে ঘন ঘন ব্ল্যাকআউট হচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এসবি/