ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

দিন দিন সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে: সেনাপ্রধান

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৫৯ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

সেনাবাহিনীর প্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, করোনা মহামারি কাটিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও আধুনিকায়নের পথে এগুচ্ছে। দিন দিন তাদের সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর আন্তঃফরমেশন এ্যাসল্ট কোর্স প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। 

সেনাপ্রধান বলেন, “যত আধুনিক অস্ত্র আমরা কিনি না কেন, যত ডিজিলাইটেশন করি না কেন, যারা এটা পরিচালনা করবে তারা যদি সুদক্ষ না হয় তাহলে এগুলো ব্যর্থ হবে। এজন্য দরকার কঠোর প্রশিক্ষণ। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষনের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রশিক্ষণই সর্বোত্তম কল্যাণ। এই মূলমন্ত্র ধারণ করে সেনাবাহিনী এগিয়ে যাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর যতগুলো প্রশিক্ষণ, তার মধ্যে এসল্ট প্রশিক্ষণটা খুবই কঠিন ও যুদ্ধের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। একটা রণকৌশলে শারীরিক যে কসরতগুলো দরকার হয় সেসবগুলোই এসল্ট প্রশিক্ষণে আছে। 

দু’বছর করোনার জন্য বন্ধ থাকার পরও এবার প্রশিক্ষণে দেখলাম আগের যে গড় সময় ছিল তার চেয়ে সময় কমেছে। তার মানে হলো আগের চেয়ে সেনাবাহিনী অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান।

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘে এক নম্বর শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। এই অর্জন কিন্তু শুধু শুধু অর্জিত হয়নি, এর জন্য বাংলদেশ সেনাবাহিনীর অনেক ত্যাগ, পরিশ্রম করতে হয়েছে, অনেক দক্ষতা দেখাতে হয়েছে। এটা বাংলদেশ সেনাবাহিনীর ধরে রাখতে হবে।”

রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আন্তঃ ফরমেশন এ্যাসল্ট কোর্স প্রতিযোগিতার  পুরষ্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান রামু সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিযোগিতা গত ১৩ নভেম্বর শুরু হয় এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬টি বড় ও ছোট ফরমেশন দল অংশগ্রহণ করে। 

এ প্রতিযোগিতায় ১০ পদাতিক ডিভিশন চ্যাম্পিয়ন ও ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। উক্ত প্রতিযোগিতায় রামু সেনানিবাসের সৈনিক মোঃ তপু মোল্লা ১ম শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী এবং ১০ পদাতিক ডিভিশনের সৈনিক গোলাম রাব্বানী ২য় শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। 

সমাপনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শ্রেষ্ঠ দলসমূহের মহড়া প্রদর্শন এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। 

সমাপনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং কক্সবাজার এরিয়ার সকল অফিসার, জেসিও এবং অন্যান্য পদবীর সৈনিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এএইচ