ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

এক সেমিস্টার শেষ হলেও আইডি কার্ড পায়নি হাবিপ্রবি’র ২১ ব্যাচ

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৪১ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০৩:৪৪ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২২ রবিবার

প্রথম সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে আগস্টে। এখন চলছে ২য় সেমিস্টারের ক্লাস। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে মিডটার্ম পরীক্ষা। অথচ প্রথম বর্ষের শেষ প্রান্তে এসেও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা হাতে পাননি আইডি কার্ড।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে পরিচয় দিতে গিয়ে নিয়মিত বিব্রত হতে হয় শিক্ষার্থীদের।

সম্প্রতি অন্যের স্টুডেন্ট আইডি নম্বর ব্যবহার করে ৪ বছর ধরে হলে অবস্থানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের বিষয়টি সংবাদপত্রে ফাঁস হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ২১ ব্যাচের ক্লাস শুরু হয়। করোনার ঝুঁকি থাকায় অনলাইনে ওরিয়েন্টেশন ক্লাস নিয়ে পাঠদান শুরু করে কর্তৃপক্ষ। তবে ভর্তির প্রায় ১ বছর হতে চললেও কাঙ্ক্ষিত আইডি কার্ড দেয়নি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগ। যা নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০ ব্যাচের আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। কিছু আইডি কার্ডের সংশোধনী ছিল, তা ঠিক করার পর প্রায় ৭০-৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী আইডি কার্ড তুললেও বাকিগুলো পরে আছে ছাত্র পরামর্শ শাখায়। তবে ২১ ব্যাচের আইডি কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা যায়। 

ভর্তির ১১ মাস পরেও কোন শিক্ষার্থী আইডি কার্ড না পাওয়ায় বিস্মিত তাদের অবিভাবকরা।

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষার্থী মিম বলেন, “ভর্তি হলাম। এর মাঝে সেমিস্টার ফাইনাল দিয়ে পরের সেমিস্টারে উঠলাম। এখনও আইডি কার্ড পাইনি। আর কবে পাবো তাও জানি না।”

আইডেন্টিটি কার্ড একজন শিক্ষার্থীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। দীর্ঘদিন পরেও আইডি কার্ড না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাঝে। 

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী সুমাইয়া জানান, “আমার বাড়ি গাজীপুর। বাবার অফিস থেকে সন্তান হিসেবে টাকা পেতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর আবেদনের সময় আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হতো। সঠিক সময়ে সাবমিট না করায় সেই সুযোগ চলে যায়। এখনও আইডি কার্ড পাইনি। আর পেলেও সেই সুযোগ চলে যাওয়ায় আফসোস থেকেই যাবে।”

২১ ব্যাচের বিভিন্ন বিভাগের শ্রেণি প্রতিনিধিদের (সিআর) সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তারা বিষয়টি নিয়ে হতাশ। তারা বলেন, “ডিপার্টমেন্টের সবাই তাদের ওপর চাপ দেয় আইডি কার্ডের বিষয়ে। অনেকবার ছাত্র পরামর্শ শাখায় গেলেও তারা বলেন এখনও আইডি কার্ড প্রস্তুত হয়নি।”

সোস্যাল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থীরা বলেন, “অনেক রিডিং ম্যাটেরিয়ালস নেট থেকে নামিয়ে পড়তে হয়। গুগল বা ইউটিউব ব্রাউজ করতে হয়। দেখা যায়, টিএসসিতে পড়তে বসেছি কিন্তু এখানে ওয়াইফাই থাকলেও তা ব্যবহার করতে পারছিনা। এর জন্য আবেদন করতে হয় স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়ে, যা আমাদের নেই।”

এছাড়াও ব্যাংকে স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে, লাইব্রেরি কার্ড করতে, প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল একাউন্টসহ নানা ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয়।

ফলে এসব সুযোগ-সুবিধা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচ পুরোপুরি বঞ্চিত।

এবিষয়ে ছাত্র পরামর্শ শাখার পরিচালক ইমরান পারভেজ বলেন, “কাজ চলমান আছে, আগামী সপ্তাহ থেকে বিতরণ শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।”

এএইচ