ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ঝুলে আছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের চারলেন প্রকল্প (ভিডিও)

একরামুল হক, চট্টগ্রাম থেকে

প্রকাশিত : ১২:৩২ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২২ সোমবার | আপডেট: ১২:৩৪ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২২ সোমবার

নয় বছর ধরে সমীক্ষাতে ঝুলে আছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চারলেন প্রকল্প। চট্টগ্রাম নগরীর সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবানকে যুক্ত করতে শাহআমানত সেতু চালু এবং বঙ্গবন্ধু টানেলও খুলে দেওয়ার অপেক্ষায়। তবে মহাসড়কটি না হওয়ায় সব উন্নয়ন কাজই থমকে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬০ কিলোমিটার। এর মধ্যে বিপজ্জনক বাঁক রয়েছে অন্তত ৮৯টি। এছাড়া মহাসড়কটি দুই লেনের এবং সরু। কিন্তু প্রতিনিয়িত বাড়ছে গাড়ির চাপ। বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে গাড়ীর চাপ আরও বাড়বে। বাড়ছে দুর্ঘটনা ও মানুষের ভোগান্তি। 

পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, “এই সড়কটিতে উঁচু-নীচু আছে, সেটি বাদ দেওয়া হবে এবং দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা হবে। রাস্তাঘাটের যে অবস্থা দুই-আড়াই ঘণ্টার পথটি পার হতে আমাদের সময় লাগছে ৪-৫ ঘণ্টা।”

কক্সবাজারের মহেশখালীতে চলছে ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞ। সেখানে গভীর সমুদ্র নির্মাণ ছাড়াও জ্বালানির হাব গড়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে। 

প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, “এ প্রকল্পে অর্থায়ন কে করবে, বাইরের কাছ থেকে ডোনার নিবে না সরকারের জিওবি’র মাধ্যমে সেটা হবে। এগুলো নির্ধারণ হয়ে এই প্রকল্প যে কবে আলোরমুখ দেখবে আমরা জানি না।”

কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ শেষ হওয়ার পথে। থেমে আছে কেবল সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্প। রাজনীতিবিদেরাও মহাসড়কটি দ্রুত চার লেনে উন্নীতকরণের তাগিদ দেন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, “সারা পৃথিবী থেকে পর্যটকরা আসেন, অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর কক্সবাজার। এখানের রাস্তাটি খুব দ্রুত বাস্তবায়িত হলে মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হবে এবং দুর্ঘটনার ঘটনাও অনেকাংশে কমে যাবে।”

এডিবির অর্থায়নে প্রথম ২০১৩ সালে সুইডিস কনসালটেন্ট নামে একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠান মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ সমীক্ষা কাজ শেষ করে। এরপর আরও তিনবার সমীক্ষা চালিয়েছে দেশি-বিদেশি চার প্রতিষ্ঠান। 

সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আতাউর রহমান বলেন, “আমরা যে জিডিপি দিয়েছি, সেখানে প্রায় ৫ হাজার ৯শ’ কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েছিলাম। এখন যদি ডোনারের প্রকল্প দিয়ে হয় সেক্ষেত্রে আবার স্টাডি হবে কিনা সেটা বলতে পারছিনা।”

নতুন সমীক্ষায় এই মহাসড়কের দৈর্ঘ্য হবে ১৩১ কিলোমিটার, যা কক্সবাজার থেকে আনোয়ারা ওয়াই-জংশন পর্যন্ত চার লেন হবে। প্রশস্ত হবে ২৫ দশমিক ২ মিটার। এছাড়া সড়কে ছোট-বড় ২৬টি সেতু এবং ১৬৪টি কালভার্ট নির্মাণ করার কথা।

এএইচ