ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দশ মাসের পরিসংখ্যান বলছে, বেড়েছে নারী নির্যাতন (ভিডিও)

শাকেরা আরজু

প্রকাশিত : ১২:৪১ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২২ শুক্রবার

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস আজ। সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখার পরও উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতা। রাস্তাঘাট, যানবাহন, কর্মস্থল এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়িতেও নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারী।

১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর লাতিন আমেরিকার ডমিনিকান রিপাবলিকের স্বৈরাচারী শাসক রাফায়েল ক্রজিলোর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালে প্যাট্রিয়া, মারিয়া তেরেসা ও মিনার্ভা মিরাকেল নামে ৩ বোনকে হত্যা করে শাসকচক্র।

এই নির্যাতনের প্রতিবাদে ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় নারী সম্মেলনে ২৫শে নভেম্বর ‘নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা করা হয়। 

১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় মানবাধিকার সম্মেলনে ২৫শে নভেম্বরকে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ দিবস হিসেবে মেনে নেয়া হয়। আর ১৯৯৯ সালে, ২৫ নভেম্বরকে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন দিবস পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ। 

প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হলেও মহিলা পরিষদের পরিসংখ্যান বলছে, নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে আশংকাজনক হারে বাড়ছে ধর্ষণ ও হত্যা। 

লিগ্যাল এডভোকেসির পরিচালক  দীপ্তি সিকদার বলেন, "গত দশ মাসের তথ্যেও উঠে এসেছে এলার্মিংভাবে বেড়ে গেছে ধর্ষণ, গণ ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা।"

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ড. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, "যেহেতু অপরাধীর বিচার হচ্ছেনা, অপরাধী চিহ্নিত হচ্ছে না, অপরাধকে অপরাধ হিসাবে গ্রহণ করলেও ভিকটিমের ওপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে যেকারণে এ ধরণের ঘটনা ঘটছে বেশি।" 

মহিলা পরিষদের গবেষণায় উঠে এসেছে, ১০ থেকে ১৮ বছরের কন্যারাই ধর্ষণের শিকার হচ্ছে বেশি। প্রতিবেশীর মাধ্যমে, স্কুলে আসা যাওয়ার পথে অথবা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে এসব মেয়েরা।

এছাড়া রাস্তাঘাট, যানবাহন, কর্মস্থল এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতেও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নারী। 

এ বিষয়ে দীপ্তি সিকদার বলেন, "থানাকেও আরও নারীবান্ধব হতে হবে, সার্বিকভাবে বিবেচনা করতে গেলে সবাই ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠান সবাইকেই সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে।" 

সামগ্রিকভাবে সমাজে নারীর অবস্থানের কোন উন্নতি নেই। যার প্রধান কারণ, নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি। পারিবারিক শিক্ষা, সংস্কৃতির বিস্তার আর সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা চালু হলে নারী নির্যাতন কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
 

এসবি/